ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাগেরহাটে আদালতের আদেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জনৈক শেখ ফয়জুল করিম পিন্টুর বিরুদ্ধে। তার ভাইয়ের মেয়ে ফাহমিনা করিমের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি মোল্লাহাট বাজার সংলগ্ন ৩৭ শতক জমির উপর ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছেন।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ না করার জন্য বললেও ফয়জুল করিম তার ৩০ থেকে ৩৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছেন এমন অভিযোগ করেন ফাহমিনা করিম। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শেখ রেজাউল করিম মারা যাওয়ার পর থেকে আমার চাচা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। ন্যায্য পাওনা বুঝে পেতে ২০১৯ সালে বাগেরহাট আদালতে বাটোয়ারা মামলা করি (মামলা নং ৮৪/১৯)। 

এরপরে আমার চাচা শেখ ফয়জুল করিম পিন্টু বাজার সংলগ্ন ৩৭ শতক জমির উপর ভবন নির্মাণের চেষ্টা করেন। আমরা মৌখিকভাবে নিষেধ করার পরেও চাচা ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা হাইকোর্টে আবেদন করলে উচ্চ আদালত ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু, সে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আমার চাচা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ফাহমিনা করিম বলেন, ‘ঘটনা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কোন কাজে আসছে না। আমরা এখন কি করব? আমরা ন্যায্য পাওনা প্রাপ্তির জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখার অনুরোধ করছি এবং ন্যায় বিচার চাই।’

আমার চাচাতো ভাই ইমরুল করিম পুলিশের এসআই হওয়ার সুবাধে স্থানীয়দের এবং আমাদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়েছে। যার ফলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলছেন না বলেও জানান তিনি।
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ ফয়জুল করিম পিন্টুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
  
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কবির বলেন, ‘এটাতো আমাদের কাজ নয়, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। তিনি আমাদের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ দেওয়া হবে।’

মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন বলেন, ‘উপজেলা সদরে পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের বিষয়টি আমাদের অবহিত করার পর আমরা উভয়পক্ষকে ডেকে কথা বলেছি। আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি।’

এআই//আরকে