ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হাওরবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৬:২৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৭ রবিবার

ফাইল ফটো: প্রধনামন্ত্রী শেখ হাসিনা

ফাইল ফটো: প্রধনামন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘চিন্তা করবেন না। সব সময় আপনাদের পাশে আছি।’ সুনামগঞ্জে অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীদের দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।

রোববার সকাল সোয়া ১০টায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা সদরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করবেন।

ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীকে ধানের সঙ্গে সঙ্গে গো–খাদ্যও দেওয়া হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আগামী মৌসুমে হাওর অঞ্চলে বিনা মূল্যে কৃষি উপকরণ দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী হাওরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের খবর প্রতিনিয়ত রাখছি। মন্ত্রী, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আপনাদের পাশে রয়েছে। আপনাদের জন্য কাজ করছে।’

বাঁধ নির্মাণে কারও গাফিলতি থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হাওরবাসীদের আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। হাওরে কীভাবে বাঁধ নির্মাণ করা যায় বা এতে প্রাকৃতিক ক্ষতি হবে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

হাওরে ফসল নষ্ট হওয়ার অজুহাতে একশ্রেণির ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ফসল নষ্ট হয়েছে হাওরে। খাদ্যের মজুত আছে। কম পড়লে আমদানি করা হবে। কিন্তু খাবারের কষ্ট হবে না। কেউ কালোবাজারি করলে ব্যবস্থা নেব।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন কষ্ট না পায়, এই লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় থাকলে আপনাদের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে না।’

হাওর অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির বর্ণনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ত্রাণ কর্মসূচি যাতে সঠিকভাবে চলে, সেদিকে লক্ষ রাখবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলে কৃষিঋণ আদায় করা হবে না। তিনি বলেন, বেসরকারি অনেক সংস্থা কৃষিঋণ দিয়েছে। তারা সুদ আদায়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। সুদ আদায়ের জন্য দুর্যোগে পড়া মানুষের ওপর যেন চাপ দেওয়া না হয়, এনজিওগুলোকে সে নির্দেশ দেবেন বলে জানান তিনি।

হাওর পরিদর্শন শেষে বিকেলে রাজধানীতে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।

কয়েক দিনের টানা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে এলাকার উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার কৃষকের জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বন্যায় সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।