ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মসজিদে বিস্ফোরণ : কাজ করছে ৩টি তদন্ত কমিটি 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৫, ফায়ার ব্রিগেড ৪ এবং তিতাস ১০ সদস্যের আলাদা তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আজ শনিবার সকাল থেকেই এ কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে নানা দিক ক্ষতিয়ে দেখছেন। তবে, এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিতাসে অভিযোগ জানালেও ঘুষের টাকার জন্য তারা কাজ করেনি।   

জানা যায়, শনিবার সকালেই কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনগুলোর প্রাথমিক ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও জমে থাকা গ্যাসের কারণেই এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। 

এর আগে ঘটনার দিন গতকাল শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বলেন, ‘মসজিদের তল দিয়ে গ্যাসের একটি পাইপ রয়েছে। ওই পাইপের লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে যায়। এর মধ্যে এসি চলার কারণে মসজিদের ভেতরে সবগুলো জানালা ও দরজা টাইট করে বন্ধ ছিল। ফলে নির্গত গ্যাস বের হতে না পারায় এ বিস্ফোরণ ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের আগে কেউ হয়তো বাতি বা বিদ্যুতের কিছু জালানোর সময়ে স্পার্ক করে। সেই স্পার্ক থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে সেটার কারণে এসি ও বাইরের ট্রান্সফরমারেও আগুন ধরতে পারে।’

এদিকে এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘গ্যাস লিকেজ ঠিক করতে তিতাস কর্তৃপক্ষকে বারবার অবগত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি। মূলত গ্যাস লিকেজ ঠিক করতে কর্তৃপক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিল, কিন্তু না দেওয়ায় মেরামত করেনি। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী আর কিছু বলেনি তাদের। ফলাফল স্বরূপ তিতাসের গাফিলতির কারণে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।’

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আল মামুন বলেন, ‘গতকাল রাতে টিভিতে খবর প্রচারের পর জানতে পেরে আমার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে এ রকম কোন আবেদন আমরা পাইনি। তারপরও ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট এলাকার জিএমকে সাথে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদেরকে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। টাকার দাবির কথা প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আর ফায়ার ব্রিগেডের উপ পরিচালক নূর হোসেন আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যা বুঝা যাচ্ছে, এখানে এসি বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটেনি। নামাজ পড়ায় এসি চালু ছিল। ফলে, মসজিদ পুরো আবদ্ধ ছিল। ফলে, মর্মান্তিক এ ঘটনায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি।’
এআই/এসএ/