ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তুরস্ক আলোচনায় রাজি হলেও গ্রিসের না

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার

গত ২৬ থেকে ২৮ আগস্ট ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক, গ্রিস, সাইপ্রাস ও ফ্রান্সের যুদ্ধ জাহাজের সামরিক মহড়া- এপি

গত ২৬ থেকে ২৮ আগস্ট ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক, গ্রিস, সাইপ্রাস ও ফ্রান্সের যুদ্ধ জাহাজের সামরিক মহড়া- এপি

আশা জাগিয়েছিল ন্যাটো প্রধানের ঘোষণা, গ্রিস ও তুরস্ক আলোচনায় রাজি। কিন্তু তারপর গ্রিস জানাল, তারা আলোচনায় সম্মতি দেয়নি। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অশোধিত তেল উত্তোলন নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে। মিশরের সঙ্গে চুক্তি করে গ্রিস তেল তুলতে চায়। তুরস্ক জানিয়েছে, ঐ এলাকাটি তাদের সীমায় পড়ে। তারাও তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে নৌবাহিনীর জাহাজও আছে। এই অবস্থায় ন্যাটো উত্তেজনা কমাবার জন্য দুই দেশের মধ্যে আলোচনার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে’র। 

ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলেনবার্গ ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, ‘দুই দেশ টেকনিক্যাল আলোচনায় রাজি হয়েছে। আমি দুই পক্ষের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ করছি, যাতে সমাধানসূত্র পাওয়া যায়।’ কিন্তু তার এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রিসের মুখপাত্র সংবাদসংস্থা এপিকে জানান, ন্যাটো প্রধানের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব অবস্থা মিলছে না। তুরস্ককে অবিলম্বে যাবতীয় জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তারপরই একমাত্র উত্তেজনা কমতে পারে।

তুরস্ক অবশ্য আলোচনা চাইছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তুরস্ক শর্তহীন আলোচনায় রাজি। এই আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় থেকে সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে।

জার্মানিও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চায়। চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল গত বৃহস্পতিবারও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন। ম্যার্কেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুই নেতা আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাবার ওপর জোর দিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনপূর্ণ যে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

এমএস/