পানি সরবরাহ লাইনে লিকেজ, চুরি কম্পিউটারের মাধ্যমে জানা যাবে
প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৭:০৩ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৭ রবিবার
পানি সরবরাহ লাইনে লিকেজ কিংবা সরঞ্জাম চুরি হলে সেটি কম্পিউটারের মাধ্যমে জানা যাবে। দেশে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক এ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। সকালে নগরীর একটি হোটেলে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে এ বিষয়ে ওয়াসা চুক্তি সই হয়। এর ফলে পানি সরবরাহ ছাড়াও ভূ-গর্ভস্থ পানির অপচয়রোধসহ অনান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।
তীব্র পানি সংকটে অতিষ্ট নগরবাসীর পানির চাহিদা পূরণে কর্ণফুলি পানি সরবরাহ প্রকল্প-১ এর কাজ শেষের পর এবার দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
পানির অপচয়রোধে ৬শ’ কিলোমিটার পাইপ লাইন পরিবর্তনসহ ‘পানি সরবরাহ প্রকল্প-২’ এ ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ওয়াসার পানি সরবরাহ মনিটরিং করতে যুক্ত হচ্ছে ‘সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডাটা অ্যাকুইজিশন- স্ক্যাডা নামের ডিজিটাল প্রযুক্তি। জাপানের ইয়োকাগাওয়া সলিউশন সার্ভিস করপোরেশনের সাথে এ বিষয়ে চুক্তি সই করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
ওয়াসার অনান্য প্রকল্পে আধুনিক এ প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটিয়ে চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ ও অপচয় বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
বর্তমানে নগরবাসীর ৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ওয়াসা সরবরাহ করছে ৩২ কোটি লিটার। এদিকে ওয়াসার চলমান আরো তিনটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ২০২০ সালের মধ্যে নগরবাসীকে ৪৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পানি সরবরাহ প্রকল্প-২’ এর কাজ এরিমধ্যে ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে।