ঢাকা, বুধবার   ১৫ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২ ১৪৩১

বাংলার প্রথম শিল্পযোদ্ধা ডা. মীর আমজাদ হোসেন 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

শুধু বাংলার মানুষকে শোষণ-নিপিড়নই নয়। অধিকার বঞ্চিত বাঙালিরা সততা, কর্মদক্ষতায় সামগ্রিক উন্নয়ন, খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও যাতে এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পশ্চিম পাকিস্তানীদের মনোভাব ছিল আক্রোষমূলক। বিশেষ করে ব্যবসায়ীকভাবে সমৃদ্ধশালী হয়ে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের পণ্যের প্রসার না করতে পারে সেজন্য অতীত থেকেই পাকিস্তান সরকারের এমন বাধা দমিয়ে শিল্প কলকারখানা স্থাপনে বাংলার প্রথম উদ্যোক্তা ছিলেন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর গ্রামের ডা. মীর মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন। 

পাকিস্তানী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের এই ক্যাপ্টেন কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে মূল লক্ষ্য ব্যবসায় মনোনিবেশ করে দারিদ্রতা জয় এবং অভুতপূর্ব সফলতা অর্জনের পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যতম শিল্প উদ্যোক্তা, শিক্ষা, চিকিৎসা বিস্তার এবং সামাজিক অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ভূমিকা রেখেছেন। কর্মগুণে মানবতার কল্যাণে নানা প্রতিভার দৃষ্টান্ত আমজাদ হোসেন ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেও নিজের মানব হিতৈষী উদ্যোগ তাকে অম্লান করে রাখবে।

জানা যায়, ১৯ শতকের প্রথম দিকের সময়টি ব্রিটিশ শাসনে যুক্ত ছিল পুরো ভারতবর্ষ। ১৯২৫ সালের ১ অক্টোবর পাবনা জেলার অধিনস্ত সিরাজগঞ্জের অনুন্নত এনায়েতপুরের একটি সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে পিতা আলহাজ্ব মুসলেম উদ্দীন এবং মাতা বেগম মেহের-উন-নেছার কোলজুড়ে জন্মগ্রহণ করেন ডা. মীর মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছেলে বেলায় ছিলেন অত্যান্ত দুরন্ত ও প্রাণচঞ্চল। 

আমজাদ হোসেনের জীবনী নিয়ে শ্রদ্ধা স্মারক বইটি থেকে জানা যায়, বাংলা ১৩৩০ সালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এনায়েতপুর গ্রামের অন্যদের মত তাদের পরিবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সামান্য জমি আবাদ ও ছোট ব্যবসা করে তাদের পরিবারের সংসার ও মেধাবী আমজাদের লেখাপড়া চলেছে কষ্টে। তার মূলত, লেখা-পড়ায় হাতেখড়ি খাজা পীর শাহ সুফী ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ) নিকট। তার একনিষ্ঠ মুরিদ আলহাজ্ব মুসলেম উদ্দীনের সাথে হুজুরের খানকায় এসে আমজাদ হোসেন আরবি, ফারসি ও উর্দু শিখেছেন। 

এরপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় চৌহালীর মালিপাড়ার স্থল পাকড়াশী ইন্সটিটিউটে। এখান থেকে ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক ও এরপর রাজশাহী কলেজে বিজ্ঞানে আইএসসি পাশ করেন। তারপর ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বাবা-মায়ের উৎসাহে ঐতিহ্যবাহী কলকাতা মেডিকেল কলেজ হতে ১৯৪৮ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। বাড়ি ফিরে ১৯৫০ সালে খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) তৃতীয় কন্যা খাজা তাজ মহলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। 

১৯৫২ সালে পাকিস্তান আর্মির মেডিকেল কোরে বাধ্যতামূলকভাবে ডা. আমজাদকে যোগদান করিয়ে সৈনিক হিসেবে পাঠানো হয় কাশ্মীর যুদ্ধক্ষেত্রে। এরপর লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থান শেষে ক্যাপ্টেন পদন্নতি দিয়ে তাকে বদলি করা হয় চট্টগ্রাম সেনা নিবাসে। সে সময় একজন ক্যাপ্টেনের বেতনের টাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে চলেও উদ্বৃত্ত থাকতো। কিন্তু ১৯৫৩ সালে চাকরি আকর্ষণ না করায় কন্ট্রোলার অব ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট দফতর থেকে ডা. এম এম আমজাদ হোসেন রং ও কেমিক্যাল আমদানির জন্য ওজিএল লাইসেন্স নেন। 

এর ফলে প্রভূত উপার্জনের সুযোগে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি হিসেবে প্রথম ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সুতার রং আমদানী করার জন্য এলসি খোলেন। যা দেশের তাঁত শিল্প সমৃদ্ধে মূল ভুমিকা পালন করে। চাকরি করে ব্যবসায় মনোনিবেশ সম্ভব নয় বলে ১৯৫৫ সালে সেনাবাহিনী ছেড়ে পুরোপুরি ব্যবসায় নিয়োজিত হন। এরপর পাটর ব্যবসা, বিদেশ রপ্তানী, তাঁত কারখানা, ঢেউটিন, ওষুধের কাঁচামাল, কোরোসিন তেল আমদানী ব্যবসায় দক্ষতা ও দূরদর্শিতায় তার সফলতার ব্যাপক প্রসার ঘঠে।
 
এরপর শিল্প বিকাশে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ১৯৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানে দেশের প্রথম টেক্সটাইল মিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে করাচিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু অনুমতি না দিয়ে বাঙালিদের দ্বারা ব্যবসা হবে না বলে ডা. এম এম আমজাদ হোসেনকে পাক সরকার সাফ জানিয়ে দেন। তখন হতাশ হয়ে ফিরলেও দমে যাননি তিনি। পরে পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনর মোনেম খান ও পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দেখা করে অনুমতি আদায় করেন। 

তবে পাক শিল্প মন্ত্রণালয় শর্তজুড়ে দেন, ঢাকায় না করে পাক সমর্থক ৭৫ ভাগ বিহারী অধ্যুষিত পাবনার ঈশ্বরদীতে স্থাপনের জন্য। নাছরবান্দা আমজাদ হোসেন এ শর্ত মেনে অনুন্নত ঈশ্বরদীতে নানা প্রতিকূলতায় জাপান থেকে ভারী মেশিনারিজ এনে চালু করেন ঐতিহাসিক আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিল। 

১২ হাজার স্পনডলের এ মিলে ৫ শতাধিক মানুষের তখন কাজের সুযোগ হয়। এখান থেকে দেশের তাঁত শিল্পে সুতার চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হতো। শুরু হয় কাপড় উৎপাদনও। এই সাফল্য পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বাঙালিদের প্রতি তাদের কুদৃষ্টির মনোভাব কতটা হীন। আর এভাবেই তিনি শিল্পে পাকদের দাবিয়ে রাখা বাধা পেড়িয়ে বাঙালীদের সফলতার দ্বার প্রথম প্রতিষ্ঠিত করেন। 

এরপর চট্টগ্রামের ক্যাপোক মিল, ১৯৬৭ সালে জামালপুরের সরিসাবাড়িতে আলহাজ জুট মিল, ১৯৮২ সালে টঙ্গীতে ড্রাগ ইন্টা. লিমিটেড ওষুধ কোম্পানি, ১৯৯৪ সালে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান এটিআই, এটিআই সিরামিকসহ বিভিন্ন ভারী শিল্প কারখানা গড়ে তুলে সফল হন। পরে ভারতের শিলিগুড়ি ও কুচবিহারে চা শিল্প সফল হলে এপারেও সম্ভব, এমন ধারণা নিয়ে পঞ্চগড়ে এমএমটি এস্টেট লিমিটেড সুবিশাল চায়ের বাগান গড়ে তোলেন। 

তিনি যোগ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল হিসেবে টানা ৩ বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রয়াত্ত অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করে দেশের সেরা শ্রেষ্ঠ করদাতা এবং ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি সিআইপি মনোনিত হন।

এরপর মানুষের দোড় গোড়ায় বিশ্বের আধুনিক চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা বিস্তারে খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রঃ) কে উৎস্বর্গ করে ২০০৩ সালে নিজ গ্রাম সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে দেড়শ একর জায়গায় ৫৮৬ বেডের দেশের বৃহৎ বিশ্বমানের খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ এণ্ড হাসপাতাল, খাজা ইউনুছ আলী বিশ্ববিদ্যালয়, খাজা ইউনুছ আলী নার্সিং কলেজসহ বেশ কয়েকটি অলাভজনক সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। যা দেশ ও জনগণের জন্য সেবামূলক অলাভজনক ট্রাষ্টি প্রতিষ্ঠান। 
এখানে দেশ-বিদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা লেখা-পড়া ও প্রতিদিন ২ সহস্রাধিক সব ধরনের রোগীদের সুলভে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে শিশু, গর্ভবতী মায়েদের ফ্রি চিকিৎসা, নামমাত্র মূল্যে দন্ত ও চক্ষু রোগীদের চিকিৎসা এবং ৫ শতাংশ বেড়ে সকল দরিদ্র রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছে। 

ডা. আমজাদ হোসেন শুধু ব্যবসা ক্ষেত্রেই মেধার পরিচয় দেননি, অত্যান্ত সহজ-সরল ও সৌন্দর্য প্রিয় মানুষ ছিলেন। তার নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ বিশ্বমানের খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যাম্পাস। এর অনন্য স্থাপত্য শৈলী আর অনুপম ল্যান্ডস্কোপ সারা দেশ তথা বিশ্বের যেকোন প্রান্ত হতে আসা মানুষদের মুগ্ধ ও বিস্মিত করছে। এ প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রমও দেশ-বিদেশে প্রশংসিত। 

৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসহায় হিন্দুসহ অন্যান্যদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহায়তা করেছেন আমজাদ হোসেন। তার স্ত্রীর বড় ভাই ও এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফের বর্তমান গদ্দিনশীন পীর খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়া বন্ধু ডাঃ এম এম আমজাদ হোসেন সম্পর্কে বলেন, তিনি ছিলেন অত্যান্ত বন্ধুবৎসল, প্রতিভাধর, অধ্যবসায়ী ও উচ্চাকাঙ্খী। কলকাতা গেলে রফি আহমেদ কিদওয়াই স্ট্রিটে নিজেদের বাড়িতে না থেকে আমজাদ হোসেনের কলেজ স্ট্রিটের সিল ম্যানসনে তার হোস্টেলে গিয়েই উঠতাম। তার আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করতো বলে কষ্ট করে হলেও ডাবলিং করে থাকতাম। 

ব্যবসায়ীক জীবনে শতভাগ সফল ডা. আমজাদ হোসেন শ্রমিকের যেকোন সমস্যায় সহায়তা যোগাতেন। ৮৭ বছরের দীর্ঘ জীবনে ৫০ বছরই ভুগেছেন ডায়াবেটিসে। ফলে রুটিনমতো চলা ছিল আজীবন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এক ওয়াক্ত নামাজ কাযা করেননি ও একটি রোজাও ভাঙ্গেননি। মানবতার কল্যাণে নিবেদিত এই ব্যক্তি ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিয়েছেন। 

অত্যান্ত মিতব্যয়ী এই মানুষটি সম্পর্কে তার বড় ছেলে খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, ‘খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছেদ বা কোন কিছুতেই বাহুল্য ছিল তার অপছন্দ। শার্ট-প্যান্ট ছিল তার মাত্র ২ সেট। দেশের শীর্ষ ধনাঢ্য ব্যক্তিদের একজন হলেও এসি-এয়ারকুলার ব্যবহার করেননি অফিস কিংবা বাসায়। ভাত, মাছ, সবজি ও টমেটোর ডাল ছিল তার প্রিয় খাবার। তবে অসহায় মানুষের কল্যাণে তিনি সব সময় থাকতেন নিবেদিত। এ কারণেই একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।’ 

এদিকে খাজা ইউনুছ আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসার ডা. হোসেন রেজা জানান, ‘সমারোহ বিলাসিতা অপছন্দ করে মানবতা আর মানুষকে নিয়ে ভাবা ডা. আমজাদ বিত্ত-বৈভরের মালিক হয়েও সাদা-সিধে জীবন কাটাতেন।’

 তিনি জানান, ‘পৃথিবীর প্রধান ধনী মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ডা. আমজাদ হোসেন সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের পরম সৌভাগ্য ডা. মীর আমজাদ হোসেন এদেশে জন্মেছেন। এদেশ চরম দুর্ভাগ্য, তাকে চিনতে পারেনি’। আমরা কর্তব্য সচেতন হলেই তার ঋণ শোধ করতে পারবো।’

ডা. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সম্পর্কে সাবেক মন্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও বাংলাদেশ এ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সহ-সভাপতি এফ. আর সরকার জানান, ‘তিনি স্রোতের বিপরীতে গ্রামে বিশ্বমানের শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে আমাদের এলাকাকে যেমন সমাদৃত করে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন। তেমনি দেশের প্রথম শিল্প স্থাপনেও ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছেন। তিনি নেই, তবে কর্মগুণেই ডা. আমজাদ হোসেন আমাদের মাঝে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।’

এদিকে দেশে শিল্প কারখানা স্থাপনের প্রথম উদ্যোক্তা মানব হিতৈষী কর্মবীর ডা. মীর মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী। এ উপলক্ষে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় কবর জিয়ারত, খাজা ইউনুস আলী (রঃ) মাজার শরীফ এবং তার প্রতিষ্ঠিত সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে বলে বলে জানা গেছে।

এআই//