1. প্রচ্ছদ
2. জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহতদের মধে একজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে পারলেও চিকিৎসাধীন ৯ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। যাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। 

তবে, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে কেউ মারা যায়নি। তবে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় শঙ্কা বেড়েছে। 

গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হোন। এর মধ্যে গুরুতর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। যার মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন, বাকিরা চিকিৎসাধীন।  

আইসিইউতে রয়েছেন- ফরিদ (৫৫), শেখ ফরিদ (২১), মনির (৩০), মো. কেনান (২৪), নজরুল ইসলাম (৫০), আব্দুল আজিজ (৪০), হান্নান (৫০), আব্দুস সাত্তার (৪০), আমজাদ (৩৭) ও সিফাত।  

এদিকে, বিস্ফোরণের পর হতাহতের ঘটনায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চারজন কর্মকর্তা এবং চারজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন গতকাল সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এরা সবাই তিতাসের ফতুল্লা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী।’

তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা এবং যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সাথে এ বিষয়ে তাদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ওই শাখার ব্যবস্থাপক, ডেপুটি ব্যবস্থাপক এবং দুইজন সহকারী প্রকৌশলী রয়েছেন।

এছাড়া, এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।

এআই//এমবি