গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল পাস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩২ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
গাজীপুর এবং আশেপাশে এলাকার আধুনিক, পরিকল্পিত এবং আকর্ষনীয় করে গড়ে তুলতে গাজীপুর উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ বিল-২০২০ পাস করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাশ হয়।
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে তোলা হয়। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মত করেই গাজীপুরের জন্য এ আইন করা হচ্ছে।
বিলে বলা হয়েছে, ২০ জনকে নিয়ে এই কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। একজন চেয়ারম্যান, চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, বুয়েটের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান, গণপূর্ত, ভূমি, পরিবেশ এবং বিমান মন্ত্রণালয়ের একজন করে উপসচিব থাকবেন।
এছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, সরকার মনোনীত ওই এলাকার একজন নারীসহ তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক এবং গাজীপুর শিল্প ও বণিক সমিতির একজন প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব থাকবেন এই কর্তৃপক্ষে।
মনোনীতরা তিন বছর মেয়াদে এই কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন। চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক চারজন সদস্যকে সরকার তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেবে।
বিলে বলা আছে, পরিকল্পনার বাইরে কেউ জমি ব্যবহার করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
বিলের উদ্দ্যেশ ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, বিলটি আইন হিসেবে প্রণয়ন হলে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় একটি আধুনিক নগরী প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ওই অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।
এদিকে প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় সাধন, গবেষণালবদ্ধ ফলাফল বাণিজ্যিকীকরণ এবং আমদানিকৃত প্রযুক্তি গ্রহণসহ বিভিন্ন কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কার্যক্রমের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল-২০২০ সংসদে পাস করা হয়। বিলটি সংসদে উপস্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াসেফ ওসমান।
এছাড়া বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিাউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বিল ২০২০’ও পাশ করা হয় সংসদে।
এমবি//