মসজিদে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৭ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় হান্নান (৫০) নামে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল।
মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও আট জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানিয়েছেন।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। তখন ছয়টি এসি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় প্রায় সবাই দগ্ধ হন।
মৃতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সীগঞ্জের কুদ্দুস বেপারি (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টস কর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ইমরান (৩৭), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুয়েল (৭), বাহার উদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫), জুলহাস (৩৫), শামীম (৪৫)। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস একটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা অফিসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এসি