ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মুজিববর্ষেই ভ্যাকসিন আনতে চায় গ্লোব বায়োটেক (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

মুজিববর্ষেই দেশবাসীকে ভ্যাকসিন উপহার দিতে চায় গ্লোব বায়োটেক। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাকন নাগ জানালেন, দ্বিতীয় ধাপের অ্যানিম্যাল ট্রায়াল এখন পর্যন্ত কার্যকর প্রমানিত হয়েছে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত বিএমআরসিতে জমা দেয়ার পর মানব দেহে ট্রায়ালের অনুমতি চাইবেন তারা। আর সব কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে জানুয়ারিতেই আসবে গ্লোবের তৈরি ভ্যাকসিন।

দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২ জুলাই করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। খরগোশের শরীরে প্রায়োগ করে শতভাগ সাফল্যের কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। 

দ্বিতীয় ধাপে ইঁদুরের শরীরের ট্রায়ালের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। গবেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় ধাপেও কার্যকর প্রমাণ হচ্ছে গ্লোবের ভ্যাকসিন। আগামী সপ্তাহেই তথ্য-উপাত্ত জমা দেয়া হবে বিএমআরসিতে।

গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী ড. কাকন নাগ জানান, মেম্বারর্স অব মাউজ মডেল ইয়ুজ করছি, যেটা সবাই আন্তজার্তিকভাবে ইয়ুজ করেন। সেখানে আমরা যে ডাটাগুলো পাচ্ছি সেগুলো খুবই আশাপ্রদ। সেগুলো আন্তর্জাতিকভাবে ভ্যাকসিন প্রকল্প নিয়ে যারা এগিয়ে যাচ্ছেন তাদের পাবলিস্ট যেটা এবং আন্তর্জাতিক গাইডলাইন, যে টলারেন্সলিমি, সেফটি, ডকসিসিটি এর ভেতরেই আসছে। এগুলো আমাদের জন্য খুবই আশাপ্রদ। আগামী সপ্তাহের ভেতর আমাদের যে মাইলস্টোনটি আছে সেটি অর্জিত হবে বলে আশাবাদী।

গ্লোবের ভ্যাকসিন প্রকল্পে এরই মধ্যে ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে গ্লোব। আন্তজার্তিক নিয়ম ও গাইডলাইন মেনেই ট্রায়াল হচ্ছে বলে দাবি কাকন নাগের। কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন উপকরণ ও রিএজেন্ট আমদানীই চ্যালেঞ্জ, এ কারণে সময় কিছুটা বেশি লাগছে।

ড. কাকন নাগ বলেন, এডমেনেস্টিটিভ বা অ্যাপ্রোভাল প্রসেসে যদি কোন ডিলে না হয়, আমলাতান্ত্রিক কোন জটিলতা যদি না হয় তাহলে আশা করছি জানুয়ারি মাসের ভেতরে আমাদের সমস্ত ট্রায়েলের ডেটে জমা দিতে পারবো। প্রডাকশন টেকনোলজি ও ক্যাপাসিটি সেই সক্ষমতা মাথায় নিয়ে আমরা বলছি যে, অ্যাপ্রোভালের সাথে সাথে জনগণের কাছে এই ভ্যাকসিনটি ডেলিভারি দিতে পারবো। ভ্যাকসিন তৈরিতে অন্য দেশের মত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার আশা গ্লোব বায়োটেকের।

ড. কাকন নাগ জানান, সব দেশেই আমরা দেখেছি সেটা ইউএস বলেন ইউকে, ইন্ডিয়া ইভেন চায়না সব জায়গায়ই ভ্যাকসিন প্রজেক্টের অর্থায়ন দাতাসংস্থা বা সরকার করে থাকে।

এএইচ/এমবি