ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

করোনায় বায়না নেই ঢাকীদের (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

সময় ভালো যাচ্ছে না ঢাকীদের। করোনায় পূজা-পার্বণ নেই, কমেছে বিয়েও। তাই থেমেছে ঢাকের বাদ্য। গত ছয় মাস ধরেই নেই কোন বায়না। আসছে দুর্গা পূজায় এখনও বায়না হয়নি। অভাব-অনটনের মধ্যে তারা কোনরকমে দিন কাটাচ্ছে।

শরৎ মানেই আনন্দময়ী মায়ের আগমনী বার্তা। দুর্গা পূজার মণ্ডপ মুখর হয় ঢাকের বাদ্যে। সেই বাদ্যের সুর ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের সবখানে। ঢাকীরাও পায় নিমন্ত্রণ, ঢাকগুলো সেজে উঠে নতুন সাজে। 

এবারও প্রকৃতিতে শরৎ এসেছে, পঞ্জিকামতে এবারের আশ্বিন মলিন বা মলো মাস, তাই পিছিয়েছে পূজার তারিখ। আর আগেই হানা দেয় মহামারী করোনা। কিন্তু এখনও নিমন্ত্রণের খবর পৌঁছেনি ঢাকী বাড়িতে।

ঢাকীরা জানান, পূজা-বিয়েতে না বাজাতে পেরে আমরা খুব কষ্টে আছি। এখন কিভাবে সংসার চালাবো। করোনাভাইরাসের জন্য আমরা বিয়ে-পূজাতে কিছুতেই বাজাতে পারিনি। আরেক ঢাকী জানান, এই যে দুর্গা পূজা এখন পর্যন্ত আমরা বায়না পাইনি।

পূজা-পার্বণ, মেলা কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও করোনায় থমকে গেছে সাংস্কৃতিক সব আয়োজন। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বায়না নেই। অভাব-অনটনে কাটছে উৎসব মাতিয়ে রাখা ঢাকীদের প্রতিদিনের জীবন।

ঢাকীরা জানান, আগে মাসে যে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করতাম, এখন সেরকম কিছুই নেই। দিনমজুরী হিসেবে কিছু রোজগার করে খাইতেছি। বয়স্ক এক ঢাকী বলেন, এখনকার যে ভাব এ ভাব আমার বয়সে দেখি নাই।

বাদ্যযন্ত্র তৈরি ও বিক্রির সাথে জড়িত মানুষগুলোও হতাশ। বলছেন, করোনায় দোকানপাট বন্ধ রাখতে হয়েছে, তাই গুণতে হয়েছে লোকসান। 

বাদ্যযন্ত্র এক বিক্রেতা জানান, খুবই সমস্যার মধ্যে চলতাছি। আড়াই মাস তো বন্ধ রেখেছি করোনা ভাইরাসের জন্য। 

অন্য এক বিক্রেতা বলেন, এখন পর্যন্ত একটি অর্ডারও পাইনি। কেউ এসে যে বাদ্যযন্ত্রের দাম জিজ্ঞেস করবে তাও কেউ করছে না।

এমন মলিন দিন সরে আবারও জাগবে প্রাণ, বাজবে উৎসবের সুর- সেই নতুন দিনের প্রত্যাশায় ঢাকীরা।

এএইচ/এমবি