ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভ্যাকসিনের জন্য সব দেশেই আবেদন করে রেখেছি: প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:৫৬ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন পেতে সব দেশেই আবেদন করা হয়েছে। যারা আগে আনবে তাদের কাছ থেকেই ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হবে।’ 

আজ বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতার সংসদ নেতা বলেন, ‘ভ্যাকসিনের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা আছে।’ তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের বিস্ফোরণের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রোধে নিয়ম মেনে সব কিছু করার পরামর্শ দেন তিনি। 

বক্তৃতায় সমসাময়িক বেশ কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা থেকে দেশবাসির সুরক্ষা নিয়ে ভাবনার কথা তুলে ধরেন সংসদ নেতা। বলেন, ‘ভ্যাকসিন যেটা আবিষ্কার হল আমরা তো আশাবাদী হয়েছিলাম অক্সফোর্ডেরটা নিয়ে। সেটা পরীক্ষা করতে গিয়েই যখন অসুস্থ হয়ে পড়ল আমরা আবার একটু দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে গেছি। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে যে, পৃথিবীর যেখানেই আবিষ্কার হোক বাংলাদেশ, আমার দেশের মানুষের জন্য আমরা সেটা সংগ্রহ করতে পারব। সেই বিষয়টায় আমরা যথাযথ সচেতন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু টাকা পয়সা কোন দিকে তাকাইনি। চিকিৎসা সেবা যেন দিতে পারি সেভাবে হাসপাতালের ব্যবস্থা, সিটের ব্যবস্থা, যা যা প্রয়োজন তা সংগ্রহ করা এবং সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে।’ 

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নামাজ পড়া অবস্থায় মৃত্যু দুঃখজনক।’ 

বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেশে কারা শুরু করেছিল, সে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা তো জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই শুরু। আমাদের বহু নেতাকর্মীর লাশও পাওয়া যায়নি। কিছু দিন আগেও আমি পার্লামেন্টে বলেছি। আমরা চেষ্টা করেছি কীভাবে আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করব। কিন্তু পাশাপাশি এটাও আমাদের দেখতে হবে যে, আমাদের মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা যথাযথ কাজ করে যাচ্ছে এবং যথেষ্ট তারা সাফল্য অর্জন করেছে এবং তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করছে। কিন্তু সেইগুলো করতে গিয়ে যদি কিছু দুর্ঘটনা ঘটে এটা ঘটাটা খুব অস্বাভাবিক না। আমরা কিন্তু কাউকে ছেড়ে দিচ্ছি না। তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটা বলতে পারবে না কেউ অন্যায় করলে কাউকে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি।’

প্রবাসী কর্মীদের পুনর্বাসনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিন্তু বসে নেই। যাদের আনার কথা আমরা স্পেশাল প্লেন পাঠিয়েও তাদের নিয়ে এসেছি এবং লাশ কিন্তু সব সময় আনা হয়। আর এখন তো প্লেনে যাতায়াতই বন্ধ। সব দেশেই বন্ধ। কোন দেশে তো প্লেন ল্যান্ড করতেও দেবে না। কাজেই সেখান থেকে আমরা আনব কী করে? সেটাও তো দেখতে হবে।’

দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সংকটে হাল ছেড়ে না দিয়ে তা মোকাবেলার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়াই সরকারের মূল নীতি বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

এমএস/এসি