মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে কাজ করবে বেক্সিমকো
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:১৩ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার
অটোগ্যাস বা লিকুফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) বাজার বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছে বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট-১ লিমিটেড। এর ফলে এখন থেকে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনগুলোতে এলপিজি পাম্প স্থাপন ও অটোগ্যাস বিক্রি করতে পারবে বেক্সিমকো এলপিজি লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার মতিঝিলে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ঢাকা অফিস ‘মেঘনা ভবনে’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
এলপিজি ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রশংসিত। এই চুক্তিটির মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেড সারা দেশের অটোমোবিলগুলোতে ব্যবহারের জন্য পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি অটোএলপিজি দ্রুত প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবে। বর্তমানে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ৮০০টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। চুক্তি অনুসারে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড প্রতি লিটার এলপিজিতে ০.৫০ টাকা রয়্যালটি পাবে, যা বেক্সিমকো এলপিজি কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠিত অটোএলপিজি পাম্পের মাধ্যমে বিক্রি করবে। বেক্সিমকো এলপিজিকে ২০১৬ সালের শুরু দিকে অটোএলপিজি স্টেশনগুলির জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক ৫০০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লাইসেন্স ও কনর্ভাশন ওর্য়াকশপ স্থাপনে ২৫টি লাইসেন্স দেয়া হয়েছিলো।
চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মীর ছাইফুল্লাহ-আল খালেদ ও বেক্সিমকো এলপিজি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মৃণাল রায়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং), মো. জসীম উদ্দীন ও বেক্সিমকো এলপিজি’র চিফ কমার্শিয়াল অফিসার এম মুনতাসির আলম, জেনারেল ম্যানেজার, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, মেহেদি হাসান, বিজনেস ডেভেলপমেন্টের প্রধান মিস তাসনুভা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো এলপিজি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মৃণাল রায় বলেন, এই চুক্তি দেশের এলপিজি খাতের জন্য একটি বড় মাইলফলক। কারণ এই চুক্তির মাধ্যমে সারা দেশে এলপিজি অটোগ্যাস পৌঁছানো নিশ্চিত হবে। স্থান ও ধারণ ক্ষমতার ওপর প্রতিটি পাম্পের বিনিয়োগ নির্ভর করে। বেক্সিমকো এলপিজি সর্বোচ্চ ভালো মানের প্রোাপেইন ও বুটেন মিশ্রিত এলপিজি সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে জ্বালানিটিতে সঠিক মানের অকটেন থাকে এবং যানবাহনের ইঞ্জিনের কোনো ক্ষতি হয় না। তিনি আরো জানান, বেক্সিমকো এলপিজি কোম্পানিই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে গৃহস্থলী কাজে ব্যবহৃত কম্পোজিট ফাইবারগ্লাস সিলিন্ডার।
বেক্সিমকো এলপিজির জেনারেল ম্যানেজার, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, মেহেদি হাসান জানান, বেক্সিমকো কম্পোজিট সিলিন্ডার বিস্ফোরণরোধী এবং স্বচ্ছ ফাইবারগ্লাস দ্বারা তৈরি হওয়ায় ব্যবহারকারীরা বাইরে থেকেই গ্যাসের স্তর দেখতে পায়। এগুলোর ওজন প্রচলিত ইস্পাত সিলিন্ডারের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ কম। যে কারণে ব্যবহারকারীরা সহজেই এই সিলিন্ডার বহন করতে পারবে।
আরকে//