সৌদি আরবের সিনেমাহলগুলো আবার চালুর সিন্ধান্ত
প্রকাশিত : ১০:৪৯ এএম, ২ মে ২০১৭ মঙ্গলবার
নিজস্ব উদ্যোগে সিনেমা নির্মান করবে সৌদি আরব। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যে ভিশন দুই হাজার ত্রিশ ঘোষণা করে সৌদি সরকার। সেখানে রয়েছে শিল্প-সংস্কৃতির বিষয়টিও। তবে বিষয়টিকে মধ্যপন্থী জনগণ স্বাগত জানালেও আপত্তি তুলেছে কট্টরপন্থীরা।
বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি আর সংস্বৃতিতে। তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরব কেন পিছিয়ে থাকবে? কট্টরবাদ থেকে মধ্যন্থার দিকে যাচ্ছে দেশটি। সিনেমাহলগুলো আবার চালুর সিন্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
আগে থেকেই ভাবা হচ্ছিল উন্নয়নে শুধু তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর। তারই বহিপ্রকাশ ‘ভিশন-২০৩০’। সরকারের প্রতিশ্রুতি সংস্কৃতিকেও এই ভিশনের বাইরে রাখা হবেনা।
সত্তরের দশকেও সৌদি আরবে সিনেমা হল ছিল। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই সে দেশের মানুষ বিদেশী সিনেমার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এবাবদ প্রতি বছর ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় কওে সৌদি নাগরিকরা।
অধিকাংশ নাগরিক চায় নিজস্ব সংস্কৃতি-কৃষ্টি কিংবা যাপিত জীবন নিয়ে নিজেদের তৈরি সিনেমা। এমন যাদের চাওয়া তাদের অধিকাংশের বয়স ৩০-এর কম। এরা বিনোদনের জন্য যায় লন্ডন কিংবা নিউ ইয়র্কে। তবে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন পাশের দেশ আরব আমিরাতে। খরচ হয় পেট্রো ডলার।
এর বিপক্ষেও রয়েছে আরেক দল। তবে রক্ষণশীল নাগরিকদের আপত্তি হালে পানি পাবে না বলে ধারনা অনেকের।
https://youtu.be/GS1qvCkU30E