ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বাহরাইন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১০:৩৩ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার
ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলো সম্পর্ক স্থাপনের নিন্দা ও বিক্ষোভ জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা- রয়টার্স
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে বাহরাইন। গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তথ্য জানান। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও বাহরাইনের এক যৌথ বিবৃতিতেও পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা জানানো হয়। খবর সিএনএন, বিবিসি ও আল জাজিরার।
বাহরাইন ও ইসরাইলের এমন সম্পর্কে ঘোরতর বিরোধীতা দেখিয়ে বিবৃতি দিয়েছে তুরস্ক ও ইরান। তুরস্ক বলছে, এটি ফিলিস্তিনের প্রতি অবৈধ অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার এবং ফিলিস্তিনের ভূমি দখল স্থায়ী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে ইসরাইলকে আরও উৎসাহিত করবে। আর ইরান বলছে, এটা ইসলাম ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বাহরাইনে বিশ্বাসঘাতকতা।
এদিকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) বাহরাইন ও ইসরাইলের এ চুক্তিকে আরব রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি বিশ্বাসঘাতকতা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত-ইসরাইলের চুক্তির মতো এ চুক্তিটিও ‘ফিলিস্তিনিদের পিছনে আরও একটি ছুরিকাঘাত’ বলে জানিয়েছে।
মিশর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা মধ্য প্রাচ্যের ৪র্থ দেশ হলো বাহরাইন।
যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও বাহরাইনের যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইসা আল খলিফার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় ইসরাইল ও বাহরাইন সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউজে ইসরাইল এবং আমিরাতের সঙ্গে চুক্তিতে বাহরাইনও যোগ দেবে। এত দ্রুত যে ইসরাইল-বাহরাইনের সম্পর্কটা এমন হবে তা সত্যিই আশ্চর্যের।’
উল্লেখ্য, গত মাসে আমিরাত ও ইসরাইল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিল। বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই পদক্ষেপ ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করা হয়।
এমএস/