ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৯ ১৪৩১

ছাড়পত্র প্রদানে হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪৮ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজে চলতি বছর এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাড়পত্র (প্রশংসাপত্র) প্রদানকালে ১ (এক) হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তক্রমেই এই টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ। 

খোঁজ নিয়ে  জানা গেছে, শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর ২২২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অভিযোগ উঠেছে, এসএসসি পাশ করা ওই সব শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র (প্রশংসাপত্র) আনতে গেলে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী প্রতি রশিদের মাধ্যমে ১ (এক) হাজার টাকা করে আদায় করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, নবীনগরের অন্য কোন স্কুলে ছাড়পত্র নেয়ার সময় এভাবে হাজার টাকা করে নেয়া হয় বলে আমাদের জানা নেই। টাকাটা মাত্রাতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ী প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ (এক) হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া, স্কুল এন্ড কলেজ হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা এই কলেজে অধ্যায়ন না করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে- এ কারণে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা সদরে অবস্থিত ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাউছার বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ছাড়পত্র দেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ (দুইশত) টাকা করে নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন ব্যাপারী বলেন, আমরা ছাড়পত্র দেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ (দুইশত) টাকা করে নিচ্ছি। 

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, ছাড়পত্র নেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন সরকারি নির্দেশনা নেই। এটি স্কুলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এর বাইরে আপাতত আমরা কিছু বলতে পারছি না। 

এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, গতমাসে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাড়পত্র বাবদ ১ (এক) হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

এরপরও যদি কোনো শিক্ষার্থী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে মানবিক বিবেচনা করে ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা কম রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) খলিলুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

এনএস/