দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্দেশে তুরস্ক যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন- ফাইল ছবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ১৫ সেপ্টেম্বর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চালুসুগ্লুর সাথে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসতে এবং আঙ্কারায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চার দিনের এক সফরে আজ রোববার তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ সেপ্টেম্বর তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ভার্চুয়ালী বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন। মোমেন ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকবেন।
মোমেন বলেন, ‘(আঙ্কারায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ১৫ সেপ্টেম্বররের বৈঠকে) রোহিঙ্গা সংকট, ডি-৮ সম্মেলন এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা প্রাধান্য পাবে।’
চ্যান্সারি কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের ফাঁকে মোমেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গেও দেখা করবেন। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল এবং ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ) এর সভাপতির সাথেও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তুরস্ক রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আঙ্কারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) পরবর্তী বৈঠকে উত্থাপন করবে বলে ঢাকাকে আশ্বস্ত করেছে।’
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে মোট ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নিয়ে আছে। এদের অধিকাংশই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দমনপীড়ন শুরু হওয়ার পর প্রাণ রক্ষায় পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিগত তিন বছরে একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফিরে যাননি।
মোমেন বলেন, ‘তুরস্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি ঢাকায় আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ডি-৮ সম্মেলন আয়োজন সম্পর্কে আলোচনা করবেন। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির উপর সম্মেলনটির আয়োজন নির্ভর করছে।’ ঢাকা সম্মেলনে বাংলাদেশ ডি-৮ এর পরবর্তি সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে। এ বছরের মে মাসে এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারির কারণে এটি বিলম্বিত হয়েছে। বর্তমানে তুরস্ক ডি-৮ এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। এটি একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংগঠন। এটি ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। এর আরও সাতটি সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান।
জি-২০ গঠিত সাত ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা পেতে তুরস্ক বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে ঢাকা আশা প্রকাশ করছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা ফিরবেন। (বাসস)
এমএস/