মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ আদেশ আপিলে স্থগিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার
নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।
একইসঙ্গে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী এ সংক্রান্ত আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার এই আদেশ দেন।
তিতাস গ্যাসের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান সাংবাদিকদের আজ এ কথা জানান।
তিনি জানান, শুধু হাইকোর্টের অন্তর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। এতে ৫ লাখ টাকার আদেশের অংশ স্থগিত চাওয়া হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেয়ার আদেশ দিয়ে রুলও জারি করেন।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ টাকা দেয়ার পর নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ৩৭টি পরিবারের কাছে এ টাকা বিতরণ করবেন। রুলে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের (রেসপনডেন্ট) কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউক, ডিপিডিসি, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও এসপি, মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রিটটি দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার।
৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩১ জন মারা গেছে।
এসি