ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১০:১৮ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার

রিও ডি জেনিরো’র সাও ফ্রানসিও জাভিয়ের সমাধিস্থলে করোনায় মৃতুদের সৎকার করা হচ্ছে- এএফপি/ফ্রান্স ২৪

রিও ডি জেনিরো’র সাও ফ্রানসিও জাভিয়ের সমাধিস্থলে করোনায় মৃতুদের সৎকার করা হচ্ছে- এএফপি/ফ্রান্স ২৪

করোনা ভাইরাসে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। যদিও ভাইরাসটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাজিলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪৩ লাখ ৩০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। আর প্রাণহানি ঠেকেছে ১ লাখ ৩১ হাজারে। মৃত্যু ও সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার বাড়েনি। প্রায় একই অবস্থায় রয়েছে এ অঞ্চলের পেরু, কলম্বিয়া, চিলি ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতেও। 

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সকাল ৯টায় বলা হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৫৯৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে যা আগে দিন ছিল ৩১ হাজার ৮৮০ জনে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮৯ জন। এর আগের দিন মৃত্যু হয়েছিল ৮ শত জনের। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৩ জনে ঠেকেছে।

অপরদিকে সুস্থতা লাভ করেছেন আরও ২০ হাজার ৫৩৭ জন। আগের দিনে সুস্থতার সংখ্যা ছিল ২৩ হাজারের কাছাকাছি। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫৮ জনে পৌঁছেছে।  

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক ব্রাজিলিয়ানের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। 

তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির প্রকোপ অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করছে। তবে অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে। 

ব্রাজিলে অবস্থা এতটা ভয়াবহ যে কিছু দিনের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় পেরুতে সাড়ে ৭ লাখ, চিলিতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ও কলম্বিয়ায় ৭ লাখ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। 

পেরুতে আক্রান্ত ৭ লাখ ২৯ হাজার ৬১৯ জন মানুষ। যেখানে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৭১০ জনে দাঁড়িয়েছে। কলম্বিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩১৯ জনের শরীরে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৯২৪ জনের। আর্জেন্টিনায় আক্রান্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৭ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজার ৩৫২ জন। 

এ ছাড়া চিলিতে করোনাক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ সাড়ে ৩৪ হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৯৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

এমএস/