বিদ্যুৎ উৎপাদন
কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২২ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার
বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার থেকে সরকারের সরে আসার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। তবে এ ক্ষেত্রে কয়লার পরিবর্তে এলএনজি ব্যবহারের বদলে নবায়ন যোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক পরিকল্পনা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সব শেষ তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৮১৩ মেগাওয়াট। যার মধ্যে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ কয়লা ভিত্তিক, ৫৫.২৬ শতাংশ গ্যাস ভিত্তিক, ৩৫ দশমকি ৩৭ শতাংশ তরল জ্বালানি ভিত্তিক, ১.১১ শতাংশ জলবিদ্যুৎ এবং .১৭ শতাংশ আসছে সৌর বিদ্যুৎ থেকে।
কিন্তু রামপাল, পায়রা, মাতারবাড়িতে নির্মানাধীন আছে বেশ কয়েকটি বড় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এমন পরিস্থিতিতে সরকার সম্প্রতি দূষন ও খরচ বিবেচনায় নিয়ে কয়লা থেকে সড়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কয়লার পরিবর্তে এলএনজি ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে সিপিডি বলছে, পরিবেশর কথা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুতের আগামী দিনের পরিকল্পনা নাবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক হওয়া উচিত।
এ জন্য সবচেয়ে জরুরি এ সংক্রান্ত দীর্ঘ্য মেয়াদি পরিকল্পনা।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়টি সবসময় সরকারের নীতি নির্ধারনি পর্যায়ে অবহেলিত হয়েছে বলেও মত সিপিডির।
এদিকে বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে পরিবেশবান্ধব করে তোলার ব্যাপারে কিছু পরামর্শও প্রস্তুত করেছে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের সব বিষয় নিয়ে সরকারের কাছে একটি প্রস্তাবের রূপরেখা দেবে। সিপিডির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক কোভিড মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে এবং অধিকমাত্রায় দুষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রাথমিক জ্বালানি পরিবর্তনের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।
এই পর্যালোচনার ফলাফল হলো, পরিবেশ দূষণকারী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরে আসা। সাম্প্রতিককালে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের ধীরে ধীরে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নেবার প্রয়োজনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী।
এসএ/