কালবোশেখীর তাণ্ডবে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি
প্রকাশিত : ১০:১৭ এএম, ৩ মে ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১০:৩৮ এএম, ৩ মে ২০১৭ বুধবার
কালবোশেখীর তাণ্ডবে মেহেরপুরের মুজিবনগরে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভারী বর্ষণে জেলার আবাদ করা ধানের ৮০ ভাগই তলিয়ে গেছে পানিতে। এদিকে চাঁদপুরে পানির নিচে থাকার ফলে আধা পাকা ধানের বেশিরভাগই পঁচে গেছে। যেটুকু ধান পাওয়া গেছে মজুরী দিয়ে সেটারও খরচ না পোষানোয় দুশ্চিন্তায় কৃষক। এদিকে মৌলভীবাজারে হাওরাঞ্চলে কাজের অভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে মজুররা
ভারী বর্ষণে পানিতে ভাসছে সোনালী ফসল। সাথে কালবোশেখীর হানা। প্রকৃতির বিরূপ আচরণে ফেকাসে কৃষকের স্বপ্ন।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, মুজিবনগরের ৪ হাজার ৫’শ ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। ৮০ শতাংশ ধান কাটার পর রাখা ছিল মাঠেই। সোমবার রাতের ঘূর্ণিঝড় আর প্রবল বর্ষণে তলিয়ে গেছে সবটাই। একফসলী জমির ধানের এমন ক্ষতিতে দিশেহারা কৃষক।
টানা বর্ষণে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, শাহারাস্তী ও মতলবের বিভিন্ন এলাকায় শত শত একর জমির ধান দেড় সপ্তাহ ধরে ডুবে আছে পানিতে। জলাবদ্ধতার কারনে এসব আধা পাকা ধানের অধিকাংশই পঁচে গেছে। ফসলের ক্ষতির সাথে ঋণের টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, অতি বর্ষণে জেলার ১২’শ ২৫ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭৭ হেক্টর জমির বোরো ধান।
মৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলে নেই কোনো কাজ। বেকার হয়ে পড়েছেন এলাকার শত শত কৃষিজীবী মানুষ। হাকালুকিতে দিন দিন তীব্র হচ্ছে খাদ্য সংকট। কাজহীন এসব মানুষের দিন কাটছে চরম হতাশা আর শঙ্কায়।