ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলো ভারত

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৯:৪৩ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার

বর্ডারে দাঁড়িয়ে আছে বহু পেঁয়াজভর্তি ট্রাক

বর্ডারে দাঁড়িয়ে আছে বহু পেঁয়াজভর্তি ট্রাক

পদ্মার ইলিশ রফতানির আগেই কোন ঘোষণা ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলো ভারত। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ফলে বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোলে আটকা পড়ে পেঁয়াজ ভর্তি প্রায় ১৫০টি ট্রাক। একই অবস্থা অন্যান্য স্থলবন্দরেও। ভারতের শুল্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- সোমবার কিছু নীতিগত পরিবর্তন হওয়ার কারণে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, এদিন সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে কোন পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। বেনাপোল বন্দর দিয়ে সকালের দিকে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রবেশের পরপরই দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারতের পেঁয়াজ রফতানিকারকদের সংগঠন। বিকেলের দিকে দুই ট্রাক পদ্মার ইলিশ ভারতে রফতানি করলেও পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানিতে মন গলেনি তাদের। 

পেট্রাপোল রফতানিকারক সমিতির পক্ষে ব্যবসায়ী কার্তিক ঘোষ বলেন, পেঁয়াজ রফতানিকারক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৭শ ৫০ মার্কিন ডলারের নীচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করবে না তারা। সে কারণে অনেকগুলো পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক বর্ডারে দাঁড়িয়ে আছে।

বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, ভারতের সাথে আমদানি বাণিজ্য শুরুর পর থেকে ২শ ৫০ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসছে। ভারতের নাসিকে বন্যার কারণে সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রফতানিকারকরা স্থানীয় বাজার দর হিসাবে ৭শ ৫০ ডলারের নীচে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রফতানি করবে না। এ কারণে তারা পেঁয়াজের রফতানি সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে।

ভারতের বনগাঁ এলাকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী অনিল মজুমদার টেলিফোনে জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে তাদের আপত্তি নেই। বাজার দরে এলসি পেলে তাঁরা পুনরায় রফতানি শুরু করবে। সে ক্ষেত্রে পুরানো যে সব এলসি দেয়া আছে সেগুলো ২শ ৫০ মার্কিন ডলার সংশোধন করে সংশোধিত মূল্যে এবং নতুন এলসি ৭শ ৫০ মার্কিন ডলার করা হলে পেঁয়াজের আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত কোন ঘোষণা ছাড়াই মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। পারস্পারিক বাণিজ্যে সমঝোতার বিকল্প নেই।  তাঁরা রফতানি বন্ধ না করে পেঁয়াজের আমাদানিকারকদেরকে সময় বেঁধে দিতে পারতেন। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তটা নেয়া ঠিক হয়নি।

এদিকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের খবরে নড়ে চড়ে বসেছে বেনাপোলসহ বিভিন্ন স্থানের পেঁয়াজের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যার আগেই খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এনএস/