ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

অপারেশন তক্কীরায়পাড়া (২য় পর্ব)

নাসিম হোসেন

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

(প্রথম পর্বের পর)

ধ্যাত, সুন্দরবনের লোনা পানি আর ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের বাঘ খাগড়াছড়ির রিজার্ভ ফরেস্টে আসবে কিভাবে? তাহলে কি বিএসএফ ধরে নিলো? 
না পেছন থেকে উৎ পেতে থাকা কোন রেমবো?

‘টু বি ওর নট টু বি’র মধ্যে দোল খেতে থাকা চিন্তাকে সোজা পথ দেখালো উপ-অধিনায়ক মেজর মোদাচ্ছর, ‘নাসিম, গো এহেড, শো মাস্ট গো অন’।
সাইফ মিসিং ইন এ্যাকশন (MIA) হাসিবকে খুঁজবে, পেলে ও টার্গেটের পশ্চিমে রিজার্ভ হিসাবে থাকবে।

এসব কারণে বেশ মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেল। আকাশে আলোর আভা দ্রুতই পরিষ্কার হচ্ছে। মনে হতাশা নেমে আসছে কারণ টার্গেট এরিয়া ভালোভাবে ঘেরাও করার জন্য এবং শেষ মুহূর্তে টার্গেটকে রেকি করার পর্যাপ্ত সময় নেই। টিলার নীচে তখনও কিছুটা অন্ধকার কুয়াশার কারণে বিরাজমান। 

টু আই সির সাথে শেষ সমন্বয়: আমি উপরে উঠে টার্গেটের অবস্থান দেখে কল না করলে সব পেট্রোল নিচেই থাকবে। কেও টিলার দক্ষিণ দিক থেকে উপরে আসার চেষ্টা করলে সেমসাইড হয়ে যাবে।

সামনের ছড়াটায় এসে পড়লাম। আমার টীম নিয়ে দ্রুতই টিলার উত্তর প্রান্তের বাশেঁর থুম বেয়ে উঠতে হবে। ছড়ার মধ্যদিয়ে পুরো দলটি হাটছে একটা মোটামুটি সুবিধাজনক ঢালু জায়গার খোঁজে। 
টিলার নীচে প্রায় অন্ধকার ছড়ার বাঁকে কাঠের ঘণ্টির শব্দ শুনে থমকে দাড়াঁলাম :

হে আল্লাহ, হাত পঞ্চাশেক দূরে গোটা বিশেক মহিষের এক পাল; আমাদের দেখে থমকে দাঁড়িয়েছে।
‘স্যার, একটু পাশে সরে আসে’ পাশে থাকা রোমেনের ফিসফিসানি। এগুলো কারবারীদের মহিষ, ভারত থেকে নামছে।
আমরা ওদের সম্মান দিতে চাইলাম। ওরা ভুল বুঝলো: হঠাৎ পানিতে ভয়ঙ্কর শব্দ তুলে দে ছুট!

কানের পাশ দিয়ে যেন একটা টর্নেডো যাচ্ছে: মহিষের শিংয়ের গুতো থেকে বাঁচতে অস্ত্র সজ্জিত বাঘগুলো প্রায় ব্যাঙের মতো লাফিয়ে এক ঝটকায় ২০ ফুট উঁচুতে উঠে পরলো।

এতে অবশ্য একটা কাজ হলো: আশু সংঘর্ষের ভয় কাটানোর একটা ড্রেস রিহার্সাল হয়ে গেল।

সজনে ডাটা ক্ষেতের মতো চিকন মুলিবাঁশের ঢালু বাগান। বাঁশের ফাঁকে নিজের শরীরকে আটকে রেখে আমার দলকে : ৩ : ৭ : ৫ রেশিওতে ভাগ করি। প্রথম দলে আমি, ইখলাস, হারুন। দ্বিতীয় দলে রকেটলন্চার, এলএমজি দিয়ে ফার্স্ট স্ট্রাইকিং গ্রুপ এবং তৃতীয় দলকে অনুরুপভাবে আলাদা করে ধীরে ধীরে উপরের দিকে হামাগুড়ি দিয়ে উঠতে থাকি। শুকনো বাঁশপাতা নীচে পড়ে টিলার ঢালু গা কে এক অফ হোয়াইট চাঁদরের রূপ দিয়েছে। হাটুঁ-কুনুইয়ের ঘর্ষণে শুকনো পাতার উপর খস খসে শব্দে নিজেরাই আতঙ্কিত হচ্ছি কেও না আবার দেখে ফেলে। এ রকম সময়টা যে কোন রেইডারের জন্যই এক দুর্বল মুহূর্ত। বাঁশের গোড়াগুড়ি ধরে উপরে উঠছি। 

টিলার টপে এসে পিছনে তাকাই।
‘স্যার এইটাই রাস্তা, সামনে গেলে ক্যাম্প পাবেন’-রোমেনের ফিসফিসানি।
একটা দু’পায়ের রাস্তা, লতা-গুল্মে প্রায় ঢাকা। বোঝা যায় সচরাচর কেও মাড়ায় না এ রাস্তা। রোমেনের উপর আমার আস্থার ঘাটতি রেখেই তো অভিযান শুরু করা। অতএব ওর দৃষ্টিতে যেটা ‘ক্যাম্প’ সেটা ক্যাম্প নাও হতে পারে। টাকার জন্য বা শত্রুতা বশত সোর্সরা ঘোল খাওয়াতেও পারে। ‘ক্লোজ রেকি  না  করে তো চার্জ করা যায় না’।

শেষ গ্রুপকে রোমেনসহ রেখে আমরা এগুতে থাকি টিলার ঢাল বেয়ে। স্ট্রাইকিং গ্রুপ -২ আমাদের একটু পিছনে। আমাদের চোখ খুজছে শত্রুদের ঘর, কোন সেন্ট্রী পোস্ট, কোন অস্ত্রধারী যাকে আমরা একে-৪৭’র নিশানা বানাবো।

কিছুটা পথ এগিয়ে আমরা পা ছড়িয়ে বসে পড়ি টিলার ঢালে আমার পিছনে সার্জেন্ট ইখলাস, সৈনিক হারুন। একটু দূরে ওপর একটি টিলার ঢালুতে একটি ঘরের উপর চোখ আটকে গেল। টিলার ঢাল কেটে ঘরটি তৈরি। কিন্তু এটাকে তো পাহাড়িদের কোন স্বাভাবিক ঘর বলে মনে হচ্ছে না- এর টিনের চালটি ঘন সবুজ রঙে রাঙানো। তার উপর সোলার চার্জার। ভীষণ খটকা লাগছে। কোন পাহাড়ির ঘরের টিনের চালে সবুজ রঙ দেওয়ার কী প্রয়োজন? ওটা কি ক্যামোফ্লাজ? সোলার চার্জার ওটারই বা দরকার কি? সাধারণ পাহাড়িরা তো সোলার চার্জার ব্যবহার করে না?

সূর্যের আলো তখন পূবের পাহাড়ের প্রাচীরের উপর দিয়ে তার আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে দিচ্ছে। গাছের ফাঁক গলে আলো এসে পড়ছে কুয়াশা সিক্ত টিনের চালে। তাতেই চিক চিক করছে টিনের চাল। বোঝা যাচ্ছে আরো দুটো ঘরের অস্তিত্বের কথা।

ঘরগুলোর লাগালাগি অবস্থান কোন স্বাভাবিক বসতবাটির পরিচয় বহন করে না। আমার মনে দৃঢ ধারণা হলো এটা কোন ফ্যামিলি বাসা নয়। 
ওখানে কারা থাকে? 
এটা ভাবতেই...
দুটি ছেলে দেখা যাচ্ছে, আমাদের দিকেই আসছে মনে হয়! বয়সে তরুণ ওদের হাতে কিছু একটা আছে মনে হয়। কিন্তু স্পষ্ট দেখছি না লতাপাতার কারণে।
আমি নি:শ্বাস বন্ধ করে ওদের পূর্ণ অবয়ব দেখার অপেক্ষা করছি, আমার অস্ত্রের টিগারে ডান তর্জনীর চাপ বাড়ছে... এই.. এই...
না, ওরা ডান দিকে গেল যে, 
হাতে অনেকগুলো পানি বহনের জন্য জারিকেন। এদিকে আসলেই পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জে ওদের বুক নিশ্চিত ঝাঁজরা হয়ে যেত। হাতে অস্ত্র না থাকায় বেঁচে গেল তরুণ দুটো ছেলে। 
সবার তো আর ওরকম ভাগ্য হয় না।

ওরা আমাদের দৃষ্টির আড়াল হতেই ওদের পিছন পিছন আসা একটা লাল-সাদা কুকুর আমাদের দেখে ফেলে দ্রুতই উঠে যায় উপরে এবং ঘুরে তার প্রভু ভক্তির পরিচয় দিয়ে সাইরেন বাজাতে থাকে।
আমাদের আর লতাপাতার আড়ালে থাকা সম্ভব নয়। কুকুরের উচ্চ নিনাদের ডাক আমাদেরকে নিশ্চিত জীবনহানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা একেবারে টিলার ঢালুতে খোলা জায়গায়, আমাদের কোন আড় নেই। শত্রু আমাদের দেখে ফেললে আমরা গুলি খাবো। একটু খাতির পাওয়ার সুযোগ নেই। পিছনে থাকা গ্রুপকে হ্যান্ড সিগনাল দিলাম:
‘মুভ’

ক্রমবর্ধমান কুকুরের ডাকের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে ঢালু বেয়ে দৌঁড়াতে থাকি... প্রায় ৩০ ডিগ্রি ঢাল পেরিয়ে আবার উঠতে হবে উপরে। বুকেপিঠে স্টীল প্লেট লাগানো ভারী ফ্ল্যাক জ্যাকেট, স্টীল হেলমেটে সজ্জিত নিজের নিম্নমুখী গতিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অবিরত নামছি...নামছি।

ঢালের শেষে এসে পড়েছি। প্রচণ্ড গতিবেগ। কিন্তু ঢালের শেষে আড়াআড়িভাবে দেওয়া কাঠের বেড়া...ওটা দৌঁড়ের শুরুতে দেখিনি...  হুমড়ি খেয়ে ওটাতে ধাক্কা খেলে মারাত্মক আহত হতে হবে...আমার ম্যাসল মেমরি আমাকে একটা টেক অফ জ্যাম্প নিতে বাধ্য করে তিন ফুট উঁচু কাঠের বেড়াটি ঠাস করে শব্দ করে ভেঙে পড়ে। আমি ওপারে।

প্রায় ত্রিশ-চল্লিশ ফিট উঁচুতে একটা আগর গাছের আড়াল থাকা একটা মানুষের অবয়ব লক্ষ্য করি।
‘ঠাস’ শব্দ শুনেই ও মাথা ঘুরিয়ে তা অনুসরণ করতে যায়। হাতে তার অস্ত্র। 
গর্জে উঠে আমার একে-৪৭। ট্রীগারে তর্জনীর চাপে নির্গত হতে থাকে মরণ শীশা। 
ঠা..ঠা..ঠা..ঠা..ঠা....

আমি উপরে উঠছি একে-৪৭’র লাল ম্যাজল ফ্লাশকে সঙ্গে নিয়ে। ৩০ রাউন্ড শেষ হতেই পৌঁছে যাই ঐ গাছ বরাবর। ঐ হতভাগাকে দেখলাম বামদিকে গভীর খাদে ছিটকে পড়তে। 
আমি মাটিতে শুয়ে পড়ে দ্বিতীয় ম্যাগাজিন ভরতে পোচে হাত দিই। আমার পাশ থেকে সার্জেন্ট ইখলাস ও সৈনিক হারুন ফায়ার করতে করতে টার্গেট টিলার টপে চলে আসে। সবাই মিলে ওদের তিনটে ঘরের উপর গুলির প্রলেপ দিতে থাকি। গুলির তোড়ে ঘরের বেড়াগুলো ঝাঁজরা হতে থাকে।
ওরা কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। ঘটনার আকস্মিকতা ওদের এতোটাই বিমূঢ়, হতভম্ব করে দেয় যে, ওরা নিজেদের হাতিয়ারের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু দিনটি ছিলো আমাদের। তিনটি, পরে পাঁচটি একে-৪৭’র সম্মিলিত অগ্নিবর্ষণে যে গজব নেমে আসে তাতে ওদের গভীর খাদে ঝাঁপিয়ে পরা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবে রেখে গিয়েছিল রক্তের শ্রোতধারা।
প্রায় ৫ মিনিটের এক গজবে সন্ত্রাসীদের আস্তনা আমরা দখলে নিয়ে নেই।
সকাল তখন ০৬:৩৭মিনিট। ১৭ মে ২০০৪।

রেডিও সাইলেন্স ভেঙ্গে সব পেট্রোলের ওয়ারলেস ওপারেটররা সরব হয়ে উঠে। সবাই জানলো ‘ওবজেক্টিভ ক্যাপচারড’। 
আমার দলের বাকী সদস্যরা দ্রুত এসে চারিদিকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ‘গনীমতের মাল’ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়লো: ২টি এল এম জি, রকেট লন্চার, কারবাইন, মার্ক-৪ রাইফেল....অজস্র গোলাবারুদ.. উচ্চশক্তির ওয়ারলেস সেট..বাইনোকুলার.. দেশি টাকা.. ভারতীয় টাকা...কত কী।

তা এতো সব গনীমতের ‘মাল’ পেয়েও যেন সন্তুষ্ট নয় সারা রাত ধরে পথ চলা বঙ্গ-শার্দূলের দল।
ক্যাপ্টেন আনীক চেঁচিয়ে উঠলো, ‘স্যার, এদিক দিয়ে পালিয়েছে’, গভীর খাদের লতাপাতায় রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখিয়ে চেজ করতে চাইলো।

ওর অতি উৎসাহে বাধ সাধি আমি, ‘ডোন্ট চেজ, লেট দেম ব্লিড’।
নীচে আমাদের ব্লকিং পজিশনের অবস্থান কোথায় আমরা নিশ্চিত নই। এ অবস্থায় ওদের পিছু ধাওয়া করা সমীচিন নয়। আর শত্রুও যদি বাংলা ছবির ভিলেনের মতো মৃত্যুর পূর্বে শেষ কামড় দেয়?
সব দলের উপস্থিতিতে সরব হয়ে উঠলো সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে দখলে নেওয়া আস্তনাটি। সকলের প্রশ্ন ছিলো বাকীরা পালালো কিভাবে? ‘নো ক্যাজুয়ালিটি অন সাইট’?

আমার কোর্সমেট জিয়াদ এর ব্যাখ্যা দিলো, যে পথ দিয়ে সে উপরে এসেছে সেখানে একটি ঝর্ণার পাশে অনেক জারিকেন এবং ইয়াং ছেলেদের পরিধেয় পোষাক, টুথব্রাশ, স্যান্ডেল দেখেছে।
সকালের ঐ সময়টায় সকলে রান্নার পানি আর গোসলের জন্য ক্যাম্পের নিচে নেমেছিল। তাতেই ওরা আমাদের  আনা গজব থেকে বেঁচে যায়। তিনটি স্থানে রক্তের দাগ ও কুড়িয়ে পাওয়া রক্তমাখা লুঙ্গী এ ধারণাই দেয় গজবকালীন সময়ে ক্যাম্পে ৪/৫ জন হাজির ছিলো। দুজন দুই পোস্টে ডিউটিরত ছিল। বাকীরা রান্নার আয়োজন করছিল। ডিউটি রত একজনই তার অস্ত্র দিয়ে ২/৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

না, গজব আমাদের উপরও ওরা আনতে পারতো যদি ওদের এল এম জি দুটোর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রহরী আরো কিছুটা ক্ষণ পোস্টে থাকতো। আমি যে পথ দিয়ে এসেছি সেটা ছিলো ওদের এল এম জির ফিক্সড লাইন। তাহলে আমিও আজ এই স্মতিচারণমূলক লেখাটি  লিখতে পারতাম না। 

যাই হোক গনীমতের মাল আমরা একা ভোগ করিনি। অস্ত্র এবং সামরিক গুরুত্ববহ সরঞ্জমাদি ছাড়া  আস্তানায় পাওয়া বেশ কয়েক বস্তা চাল ডালসহ অন্যান্য সামগ্রী পাড়াবাসীদের বিলিয়ে দেই। 
গতরাত থেকে সকাল অব্দি সবাই অভুক্ত। এবার আস্তানায় পাওয়া মালে গনীমতের চাল দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খেয়ে মধ্য দুপুরের কড়া রোদকে মাথায় নিয়ে আবার নেমে পড়ি তারাবনছড়ার শীতল পানিতে। 
নীচে ব্লকিং পজিশনে থাকা সাইফের সাথে দেখা। ওর কাছে শোনা গেল মিসিং ইন এ্যাকশন হাসিবের কথা। পথ চলতে চলতে হোচট খেয়ে পড়ে ওর রাইফেলের ‘ট্রীগার মেকানিজম’ খুলে পড়ে যায় আর ওটা খুঁজতে গিয়েই দল বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। সাইফ প্রায় তিনশ গজ পিছনে গিয়ে খুঁজে পায় বছর বিশের এই নতুন যোগদানকারী সৈনিককে।

যেতে যেতে বারবার মনে পড়তে লাগলো গাছের আড়াল থেকে খাদে ছিটকে পড়া সেই অভাগার কথা...ও কি বেঁচে আছে?
আমি বেঁচে আছি, পরের দিন আরেকটি মিষ্টি সকাল দেখার ভাগ্য নিয়ে।

৫/৬দিন পর বাজারে আসা কাঠ ব্যবসায়ীদের মারফত খবর আসে ঘটনার দুদিন পর তারাবনছড়ার আরো গহীন উত্তরে দুটো চিতা জ্বলতে দেখেছে স্থানীয় জনগণ।

যে গহীন বনে একটা প্যারাসিটামলই দূষ্প্রাপ্য সেখানে রক্তের জোগাড় তো কল্পনাই করা যায় না।

লেখক: সাবেক সেনা কর্মকর্তা

এমবি//