ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাউফলে প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:০৬ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

পটুয়াখালীর বাউফলের সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকে নিপা রানী (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার স্বানেস্বর গ্রামের সুজন দাসের স্ত্রী। আজ মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সন্তানসম্ভবা নিপা রানীকে বাউফল হাসপাতলের সামনে সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। বিকাল সাড়ে ৫টায় সেখানে তাকে সিজার করার জন্য ওটিতে নেয়া হয়। এ সময় ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমান তালিকা থেকে করোনাকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নয়ন সরকার তাকে এ্যানেসথেসিয়া প্রদান করেন এবং তার স্ত্রী পুঁজা ভান্ডারী সিজার করেন তার।

নিপা রানীর মা শিখা রানী অভিযোগ করেন, সিজারের পরে আর জ্ঞান ফেরেনি তার মেয়ে শিখার। কিন্তু ভোর ৫টার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে তার মেয়েকে নবজাতকসহ উন্নত চিকিৎসার নামে একটি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সযোগে বরিশালের উদ্দেশে পাঠায়। সন্দেহ হলে পথে তারা পাশের উপজেলা দুমকির লুথ্যারান হেলথ কেয়ারে নিয়ে যান। সেখানে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শিখা রানীকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেও বিষয়টি নিশ্চিত হতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিমে) নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকও তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিপা রানীর স্বামী সুজন দাস অভিযোগ করেন, ভুল চিকিৎসার কারণে তার স্ত্রী মারা গেছেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার মৃত স্ত্রীকে বরিশাল পাঠিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বক্তব্য নেয়ার পরমর্শ দিয়ে পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। ডা. নয়ন সরকারের সিজার করা বা এ্যানেসথেসিয়া দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা (পিকেসা) বলেন, ‘ডাক্তার নয়ন সরকার ও তার স্ত্রী পুঁজা ভান্ডারীর সিজার করার কোন এখতিয়ার আছে কিনা তা আমার জানা নেই।’

এ ব্যাপারে ডা. নয়ন সরকার বলেন, ‘যে কোন এমবিবিএস ডাক্তার সিজার করতে পারেন। তবে অভিজ্ঞতা থাকলে ভাল হয়। এ্যানেসথেসিয়া দেয়ার ৬ মাসের সনদ আছে আমার। পুঁজা ভান্ডারীরও সিজার করার অনুমতি আছে।’

এনএস/