আজ বিশ্ব ওজোন দিবস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৫ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১১:০৬ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’। ওজোনস্তরের ক্ষয় ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রাণ বাঁচাতে ওজোন, ওজোনস্তর সুরক্ষার ৩৫ বছর’।
পৃথিবীর রক্ষাকবচ বায়ূমণ্ডলের ওজোন স্তরের ক্ষতি এখনো পুরোপুরি রোধ করা যায়নি। জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বব্যপী ক্ষতিকর সিএফসি গ্যাসের ব্যাবহার কমানোর পর থেকে ধীরে ধীরে ওজোন স্তরের ছিদ্র ছোট হয়ে আসলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাই বিশ্ব ওজোন দিবসে প্রাণীকূলকে রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বায়ূমণ্ডলের ওজোন স্তরের অবস্থান ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার ওপরে। সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুণী রশ্মি শোষণ করে নেয় ওজোন স্তর। তাই নানা বিপদ থেকেই বাঁচে প্রাণীকূল।
মূলত: ওজোন স্তরের ক্ষতির ৮০ শতাংশ ঘটনার জন্য দায়ী সিএফসি গ্যাস। ওজোন স্তরের নিয়মিত ক্ষয় নিয়ে ১৯৭০ সাল থেকেই ভাবতে শুরু করে বিশ্ব নেতৃত্ব। যার ফলস্বরুপ আসে মন্ট্রিল প্রটোকল। প্রটোকল অনুযায়ী ওজোন স্তর ক্ষয় করে এরকম পদার্থের উৎপাদন এবং ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত একমত হয়েছে ১৯৭টি দেশ।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। ২০৪০ সাল নাগাদ এ প্রটোকলে অন্তর্ভুক্ত সব দেশে এসব গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, আলোচনাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রাণিজগতের অস্তিত্ব রক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ওজোনস্তর ধ্বংসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্পে বিশেষ করে শীতলীকরণ শিল্পে ব্যবহূত ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস বড় ভূমিকা রাখে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৮৭ সালে ওজোনস্তর রক্ষায় গৃহীত জাতিসংঘের মন্ট্রিল প্রটোকল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ১৯৮৫ সালে গৃহীত ভিয়েনা কনভেনশন ও ১৯৮৭ সালে গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় ওজোনস্তর সুরক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পৃথিবীর সব দেশ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, সরকার গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ বন্ধ করার লক্ষ্যে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পরিবেশ আদালত আইন ২০১০, বিপজ্জনক জাহাজ ভাঙার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০০৪ এবং ২০১৪ সালে একটি সংশোধিত ও পরিমার্জিত ওজোনস্তর রক্ষাকারী দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করেছি। জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ, সংশোধন) আইন ২০১৯ এবং বিশুদ্ধ বায়ু আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা দেশে ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।
এসএ/