ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় ইসরাইল-আমিরাত-বাহরাইনের চুক্তি স্বাক্ষর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৪:৫৮ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
চুক্তি স্বাক্ষরের পর তা দেখাচ্ছেন চার নেতা- এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় ইসলাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরানেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘এই দূরদর্শী নেতারা ইসরাইল ও আরব রাষ্ট্রের মধ্যে দুইটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন যা কীনা সিকি শতাব্দীরও বেশি সময়ের এই প্রথম। ইসরাইলের পুরো ইতিহাসে এর আগে মাত্র দুটি চুক্তি হয়েছিল, এখন আমরা এক মাসে দুইটি অর্জন করেছি।’ খবর ভয়েস অব আমেরিকা’র।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাতিফ বিন রশিদ আল জায়ানি হোয়াইট হাউজের দক্ষিণ প্রাঙ্গনে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’ লনে এ স্বাক্ষর করেছেন। এ সময় নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই শান্তি অবশেষে অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্প্রসারিত হবে এবং শেষ পর্যন্ত আরব-ইসরাইলি সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে।’
এর আগে চলতি বছরের ১৩ আগস্ট প্রথমবারের মতো ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয় তারপর বাহরাইন গত শুক্রবার ঘোষণা করে, তারাও ঐ ইহুদি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে। আজ বুধবার আবদুল্লাহ বিন জায়েদ একজন দোভাষীর মাধ্যমে বলেছেন, ‘আমরা আজ একটি নতুন ধারা প্রত্যক্ষ করছি যা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য আরও ভাল পথ তৈরি করবে। এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এমন একটি স্লোগান নয় যা আমরা রাজনৈতিক লাভের জন্য উত্থাপন করছি। শান্তির নীতিতেই আমরা পরিচালিত।’ তিনি এ চুক্তিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের জন্য দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সুরক্ষা আনতে জরুরি ও সক্রিয়ভাবে কাজ করা এখন আমাদের দায়িত্ব। ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি দ্বন্দ্বের একটি ন্যায় সঙ্গত, সামগ্রিক ও স্থায়ী সমাধান হবে এ জাতীয় শান্তির মূল ভিত্তি।’
এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তার মন্তব্যে ফিলিস্তিনিদের কথা উল্লেখ না করলেও তিনি স্বীকার করেছেন, ইসরাইল ও আরব দেশগুলির মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তি ফিলিস্তিনিদেরকে শান্তি চুক্তির আলোচনার জন্য চাপ দেওয়ার এক বিস্তৃত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ ছিল।
এদিকে ইসরাইলের সঙ্গে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরতের চুক্তি বিষয়টিকে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু রাষ্ট্র স্বাগত জানালেও ঘোরতর বিরোধিতা ও নিন্দা করেছে তুরস্ক ও ইরান। তুরস্ক বলছে, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিন ও ইসলামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ইরান বলছে, ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করা মানে ফিলিস্তিনের পিছনে ছুরিকাঘাত করার সামিল।
এমএস/