ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় মনসা পূজা উপলক্ষে গ্রামীণ মেলা 

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মনসা পূজা উপলক্ষে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী ঝাঁপান খেলা ও গ্রামীণ মেলা। করোনায় দীর্ঘদিন বাড়িতে থেকে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষগুলো এমন আয়োজনে উপভোগ করেন নির্মল আনন্দ। ঢাক-ঢোল বাঁশি বাজিয়ে বাদ্যের তালে তালে সাপ ও সাপুড়ের নৃত্যকে গ্রাম বাংলায় ঝাঁপান খেলা নামে পরিচিত। কালিদাসপুর পূজা মন্দির কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুদিনব্যাপী ঝাঁপান খেলা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুরা ছুটে আসছেন ঝাঁপান খেলা দেখতে। মেলার মাঠে রয়েছে নাগরদোলা, খেলনার দোকান ও বিভিন্ন রকমের খাবারের দোকান। ঝাঁপান খেলায় অংশ গ্রহণ করে তিনটি দল। সাপুড়েরা ঢোল, বাঁশি, গানের তালে নেচে-নেচে সাঁপ নিয়ে ঝাঁপান খেলা দেখান। সাপুড়েদের হাততালি দিয়ে উৎসাহ যোগান উপস্থিত সাধারণ মানুষ।

প্রত্যেকটি দল পৃথক পৃথক ভাবে সাঁপ নিয়ে ঝাঁপান খেলায় অংশ গ্রহণ করেন। ঝাঁপান খেলার পাশাপাশি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার মাঠে রয়েছে নাগরদোলা, খেলনার দোকান ও বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান। মেলায় আসা ছোট শিশুরা নাগরদোলায় চড়ছেন। আর তাদের পছন্দের খেলনা কিনছেন। অনেকে খাবার ও তাদের পছন্দের জিনিসপত্র কিনছেন।

মনসা পূজা উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কালিদাশপুর এলাকায় শুরু হয় দুদিনব্যাপী ঝাঁপান খেলা ও গ্রামীণ মেলা। যা দেখতে ভীড় করেন নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ। মেলার মাঠে নাগরদোলা ও রাইডে চড়ে উচ্ছ্বাসে মাতে শিশুরা।

গ্রামবাসীরা বলেন, খেলার সাথে সাথে অন্যান্য খেলা যেমন সাপ খেলা, বিভিন্ন লোকজন এসে দর্শকরা এটা উপভোগ করছে। মেলা হয়, সবাই আসে, পূজো দেখে। সরকারের কাছে আমাদের আকুল নিবেদন যে, প্রতিটি বছর যেন পূজাটা আমরা এভাবে উদযাপন করতে পারি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বাউল পরিষদের সভাপতি মনিরুজ্জামান ধিরু বাউল বলেন, ‘ছোট্ট একটা মেলা বসেছে এবং নাগরদোলার মাধ্যমে শিশুদের জন্য একটা মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা কালিদাসপুর পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী যাদব কুমার পাল বলেন, বিনোদনের খোরাক মেটাতে এমন আয়োজন। পূজা ও মেলাটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। এখনও হচ্ছে। আশাকরি এভাবে চলবে মনসা পূজা উপলক্ষে খেলা ও মেলা।

আরকে//