বিশ্বের ৮৬ শতাংশ ইলিশই বাংলাদেশে (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার
বাংলার মাছ ইলিশ। বাংলাদেশের ভৌগলিক নিদর্শক বা জিআই পণ্য। সাগরে বাস হলেও ডিম পাড়তে আসে নদীতে। কিন্তু অবাধে ইলিশ শিকার ও নদী দূষণে ধীরে ধীরে কমতে থাকে ইলিশ উৎপাদন। তবে ২০১৭ সালের পর থেকে প্রতিবছরই বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন।
তবে আগের সব রেকর্ড ভেঙে এবার বিশ্বে চাহিদার ৮৬ শতাংশ ইলিশ উৎপাদন হয়েছে বাংলাদেশে। দুই বছরের মধ্যে বেড়েছে ২১ শতাংশ। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারের নানা উদ্যোগে প্রতি বছরই উৎপাদন বাড়ছে। উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে নদীতে ইলিশ বিচরণের পরিবেশ ঠিক রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
২০১৬-১৭ সালে বিশ্ব চাহিদার উৎপাদন ৬৫ শতাংশ, চলতি বছর ৮৬ শতাংশ, চলতি বছর ইলিশের গড় ওজন ৯৫০ গ্রাম, আগের বছর যা ছিল ৫৫০ গ্রাম।
উৎপাদন বাড়াতে অভয়াশ্রম বৃদ্ধি, জাটকা নিধন বন্ধ, জেলেদের আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ডিম ছাড়ার সময় ইলিশ ধরা বন্ধ করাসহ নেয়া হয় নানা উদ্যোগ।
এ ব্যাপারে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘জাটকা নিধন রোধ ও মা ইলিশ ধরা বন্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। যা সারা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৮৬ ভাগ।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালে নৌ-চলাচল কম থাকায় ইলিশ নদীতে বাধাহীনভাবে ঢুকেছে। এছাড়া পানিতে ফাইটোপ্লাঙ্কটন ও জুপ্লাঙ্কটন বেশি থাকায় পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ায় গড় ওজনও বেড়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রোকনোজ্জামান বলেন, ‘দূষণের পরিমাণ কমে যাওয়ায় নদীতে ইলিশের আধিক্যটা বেড়েছে। ফলে, অধিক পরিমাণ ও সময়মতো খাবার গ্রহণের ফলে মাছের ওজন বেড়েছে।’
ভবিষ্যতে এই ধারা রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান এই বিশেষজ্ঞ।
এআই//