কাপ্তাই লেকে কমেছে বড় মাছের পরিমান
প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ৫ মে ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০১:০৩ পিএম, ৫ মে ২০১৭ শুক্রবার
দেশের বৃহত্তম কাপ্তাই লেকে মাছ বিক্রি থেকে রাজম্ব আয় বাড়লেও, বিলুপ্ত হয়ে গেছে অনেক প্রজাতি; সেইসঙ্গে কমে গেছে বড় মাছের পরিমান। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বাঁধ দেয়ার কারণে লেকের তলদেশ এখন ভরাট হয়ে যাওয়ায় সুস্বাদু ও বড় মাছের সংখ্যা কমছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এজন্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকেও দুষছেন স্থানীয়রা।
১৯৬০ সালে পার্বত্যজেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় দেশের প্রথম ও একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য কর্ণফুলী নদীদে বাঁধ দেয়া হয়। এতে জেলার আটটি উপজেলা নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সৃষ্টি হয় ৭২৫ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল লেকের। এর নিচে চাপা পড়ে মাইনী, কাসলং, চেঙ্গী, রাইখিয়ংও কর্ণফুলীসহ পাঁচটি নদী। কয়েক বছর আগেও লেকের গভীরতা ছিলো ১০০ ফুট। এখন সেটি ৫০থেকে ৬০ ফুটে নেমে এসেছে।
আগে যেখানে প্রতিদিন ১৯ ট্রাক মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হতো, এখন সেটি কমে ১২টিতে এসে ঠেকেছে।
তবে মাছ কমলেও বেড়েছে মাছের রয়্যালেটি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব। বছরে কমপক্ষে হাজার কোটি টাকার মাছ আহরণ করে ১৯ হাজার জেলে।
রাজম্ব আয় বাড়লেও কয়েক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। রুই, কাতাল, মৃগেলসহ বড় সাইজের মাছের সংখ্যাও ব্যাপক হারে কমছে বলে জানালেন এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
লেকের সৌন্দর্য, গভীরতা ও মাছের প্রজনন-উৎপাদনের বিষয়টি দেখ-ভাল করার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা।