ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ক্ষোভ থেকেই ইউএনওকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রবিউল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার

আটক রবিউল ইসলাম (গোল চিহ্নিত)

আটক রবিউল ইসলাম (গোল চিহ্নিত)

চাকরি হারানোর ক্ষোভেই দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালানো হয়য়। দ্বিতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে দায় স্বীকার করে আদালতে এমনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রবিউল ইসলাম।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের কাছে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। 

জবানবন্দিতে রবিউল জানান- ক্ষোভ থেকেই তিনি একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনিই একমাত্র পরিকল্পানাকারী এবং একাই হামলায় অংশ নিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওসি ইমাম জাফর বলেন, রবিউল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়ে সম্মতি জানায়। তাই রবিউলকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রবিউল। জবানবন্দিতে রবিউল জানান- ক্ষোভ থেকে তিনি একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। 

আসামি আরও জানান, গত জানুয়ারিতে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ব্যাগ থেকে টাকা চুরির অভিযোগে রবিউলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ কারণে ক্ষুব্ধ হন রবিউল। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়াহিদা খানমকে হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসায় হামলা করেন রবিউল।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, আক্রোশ থেকেই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী তিনি নিজেই। তার দেয়া তথ্যমতে, হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন ও প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে রবিউল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করেন রবিউল। 

এনএস/