নওগাঁয় চুল কেটে ছাত্রী নির্যাতন, যুবক গ্রেফতার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৮ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৪১ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
নওগাঁর নিয়ামতপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক ছাত্রীর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ ও ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এঘটনায় বখাটে মো. রায়হান আলীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হলেও অন্য জড়িতরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
জানা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের শাংশৈইল গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে ও নিয়ামতপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ছাত্রী রাব্বিনা আক্তার সুমী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহন করছিলেন। প্রশিক্ষণে আসা যাওয়ার পথে গত এক মাস ধরে একই উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঝাজিরা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে রায়হান আলী তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করলে গত রোববার বিকেলে প্রশিক্ষণ থেকে বাসায় ফেরার পথে রায়হান ও তার আরও ৩ সহযোগী মিলে সুমীকে জোর করে রাযহানের বাসায় তুলে নিযে যায়। সেখানে ২ ঘন্টা ধওে আটকে রেখে সুমীর মাথার চুল কেটে তাকে নির্যাতন করা হয়।
এসময় মোবাইলে সুমীর অশ্লীল ছবি তুলে তারা। এসব বিষয়ে কাউকে জানালে ফুটেজ ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। এঘটনায় সুমীর বাবা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দাযের করে। মামলায় পুলিশ রায়হানকে গ্রেফতার করে। তবে জড়িত অন্যান্যরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এদিকে সোমবার রাতেই সুমীর অশ্লীল ফুটেজ ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয় রাযহানের সহযোগীরা। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, গ্রেপ্তারকৃত রায়হানকে মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রায়হান পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে নির্যাতনের কথা শিকার করেছে। ঘটনার পর শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা চলছে বলে জানান তিনি।
কেআই/