স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনোদন কেন্দ্র খোলার দাবি (ভিডিও)
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ নাটোরের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। গত ছয় মাসে জেলার পর্যটন খাত প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোও মন্দা সময় কাটাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
নাটোরের উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র রানী ভবানী রাজবাড়ি, উত্তরা গণভবন এবং চলনবিল ও হালতি বিলের ডুবন্ত সড়ক এলাকার বিশাল জলরাশি।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে গত মার্চ থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ। লকডাউন শিথিল হওয়ায় দর্শণার্থীরা আসলেও ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনোদন কেন্দ্র ঘিরে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বন্ধ থাকার কারণে আমাদের এলাকার ব্যবসা ভেঙে পড়েছে। এগুলো খুলে দিলে সবচেয়ে ভাল হয়।
দর্শণার্থীরা জানান, উত্তরা গণভবনে ঘুড়তে এসেছিলাম কিন্তু দেখছি বন্ধ। তাই চলে যাচ্ছি। অন্য আরেকজন জানান, লকডাউনে অনেক দিন ঘরে বসেছিলাম, ভালো লাগছে না তাই ঘুরতে এসেছিলাম। এসে দেখছি বন্ধ।
গত ছয় মাসে শুধুমাত্র উত্তরা গণভবন প্রায় ৩৫ লাখ টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
নাটোর উত্তরা গণভবনের সহকারী হিসাব কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, এখন যদি খুলে দেয় তাহলে আমরা এই ঘারতিটা পুষিয়ে উঠতে পারবো। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করবো বিশেষ বিবেচনা করে খুলে দেওয়ার জন্য।
জেলা প্রশাসন বলছে, ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলো খুলে দিতে শিগগিরই সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, স্বাভাবিকভাবে যেটা আসতো তার চেয়ে বেশি দেখতে আসবে এবং আমরা যে রাজস্ব পেতাম সেটাও পুষিয়ে নিতো পারবো।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হলেও নাটোরের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার পক্ষে বিভিন্ন পেশাজীবী ও দর্শনার্থীরা।
এএইচ/এমবি