নারী পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার
মানব পাচারের অভিযোগে বুধবার বেনাপোল ও ঝিকরগাছা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার সিাইডি পুলিশ। পরে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় নিয়ে আসে সিআইডি। গ্রেফতারকৃতরা হলো বেনাপোল পোর্ট থানার রায়পুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৪), ধান্যখোলা গ্রামের শাহিন আলী (২৬) ও ঝিকরগাছা থানার সুনিল ঘোষের ছেলে বিপ্লব ঘোষ (৩১)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা ঢাকা থেকে অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্য আসা দুই নারীকে বেনাপোলের পুটখালী এলাকার একটি জায়গায় ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা নারীদ্বয় ভারতে প্রবেশ করতে না পেরে ঢাকায় ফিরে পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও পাচারের অভিযোগ করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিনকে গ্রেফতার করা হয়। গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বেনাপোলের রায়পুর গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলামকে, একই দিন বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রাম থেকে শাহিন আলীকে ও বুধবার সকালে ঝিকরগাছা বারাকপুর গ্রাম থেকে বেনাপোল চেকপোষ্টের দিপ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার বিপ্লব ঘোষকে ঢাকা সিআইডি পুলিশ আটক করে। ঢাকার সিআইডি পুলিশ আটকের পর তাদের বিষয়ে খোজ খবর নেয়ার জন্যেই বুধবার বিকালে বেনাপোল পোর্ট থানায় নিয়ে আসে। তাদের সম্পর্কে খোজ খবর নেয়ার পর বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে আসামীদেরকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
নির্ভরযোগ্য একটি সুত্রে জানা গেছে, বেনাপোল চেকপোষ্টের সাদিপুর সড়কে অবস্থিত দিপ এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উক্ত অভিযোগকারী নারীদ্বয়কে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।
এই প্রসঙ্গে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী দিপ নারায়ন জানান, যতদুর জেনেছি গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল মেয়ে দুটোকে ঢাকা থেকে এনেছিল। সে আমার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বিপ্লব ঘোষ এর নাম পুলিশের কাছে উল্লেখ করেছে। তবে এটা পাচার ও ধর্ষন দুটো হতে পারে।
বেনাপোল পোর্ট থানার দায়িত্বরত এএসআই মুরাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের সম্পর্কে আমরা সুনিশ্চিত কিছু জানি না। তবে সম্ভবত এটা পাচার অভিযোগ হতে পারে।
পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে আমিও নিশ্চিত নয়। বিস্তারিত জানেন ঢাকার সিআইডি।
কেআই//