বর্জ্য ভস্মীকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বর্জ্য ইনসিনারেশন (ভস্মীকরণ) প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বর্জ্য ইনসিনারেশন (ভস্মীকরণ) প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জন্য আমিন বাজারে এই প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আর দক্ষিণের মেয়রও এ ব্যাপারে ৬টি আবেদন পাঠিয়েছেন, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই প্ল্যান্ট স্থাপনে কোনো বিনিয়োগ করতে হবে না। কারণ এই টেকনোলজি আমরা খুব ভালো করে হ্যান্ডল করতে পারি না। আমরা শুধু বর্জ্য ও জায়গা দেব। তারা সেখানে প্ল্যান্ট স্থাপন করে প্রতিযোগিতামূলক দামে আমাদের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাবে। এ রকম একটি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ নগরবাসীর জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সারাদেশে চিকিৎসা বর্জ্যর নিরাপদ ব্যবস্থাপনা এবং এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মেয়ররা জনসেবামূলক সব ধরনের কাজ করবেন। তবে যেখানে আপনাদের কাজের অনুমতি নেই, সেই বিষয়টা সম্পর্কে আমাকে অবহিত করবেন। আমি সেই বিষয়টা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় করবো।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনেক কাজ করছে কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, এসব মেডিকেল বর্জ্য সিটি করপোরেশনকে দিয়ে দিচ্ছে। সিটি করপোরেশন যখন ক্যারি করছে সেখানে আরেকটা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সেটি হল- কর্পোরেশনের যে লোকটা বর্জ্য নেবে সে সংক্রমিত হবে কিন্তু সে তো জানবে না। বাড়িতে গিয়ে সে পরিবারের অন্যদের সংক্রমিত করবে, তাদের মাধ্যমে পুরো সমাজে ছড়িয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, কী কী ‘ফ্যাসিলিটিজ’ থাকলে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে লাইসেন্স দেয়া হবে, তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই নিশ্চিত করতে হবে।- বাসস
এসি