স্বপ্নের কান্ডারীর শুভ জন্মদিনে
অধ্যাপক ডাঃ বঙ্গ কমল বসু
প্রকাশিত : ১২:৫৪ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার
সাধারণ মানুষের প্রতি মমত্ত্ববোধ ও অকৃত্রিম ভালবাসা; অবহেলিত, নিপীড়িত, শোষিত মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাই গহীন গাঁ - টুঙ্গিপাড়া ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ পিতা জনাব শেখ লুৎফুর রহমান ও মাতা সায়েরা খাতুন এর ঘরে জন্ম নেওয়া শিশু “খোকা” একদিন হয়ে উঠেছিলেন মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই আমাদের জাতির পিতা, তিনিই বাংলায় জন্ম নেওয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, তিনিই “বাংলাদেশ” নামক রাষ্ট্রের সুনিপুণ স্থপতি।
বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আত্মজীবনী বিশ্লেষণ করলে তাঁর সাধারণ মানুষের প্রতি মমত্ত্ববোধ এর নিদর্শন সুস্পষ্টভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতি পদে পদে পরিলক্ষিত হয়। বাংলার মানুষের শোষণ, নিপীড়ণ, বঞ্চণা ও বৈষম্য নিরসনে তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে প্রতিষ্ঠা করেন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র - “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ”।
তিনি “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কারণ বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা ছিল তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগণই হবে সকল ক্ষমতার উৎস। যে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জন্য জাতি, ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল নির্বিশেষে সমঅধিকার নিশ্চিত হবে। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে তিনি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জন্যে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন সংবিধিবদ্ধ মৌলিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারসমূহ।
যে কারণে তিনি রাষ্ট্রের জনগনের মৌলিক অধিকারসমূহকে (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা) রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসাবেই সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের ক উপধারায় লিপিবদ্ধ করেছেন । অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে। যেকারণে তিনি গ্রহন করেছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচী ও প্রনয়ণ করেছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য নীতিমালা।
জাতির পিতা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবাকে পৌঁছে দিতে ও প্রতিটি জনগনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে প্রনয়ণ করেছিলেন “থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প”, যা বিশ্বে আজও অনুকরণীয় ও সর্বজন সমাদৃত একটি মডেল। দুরদর্শী বঙ্গবন্ধু স্বাস্থ্য সেবাকে এগিয়ে নিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের উৎকর্ষের প্রয়োজনীয়তাও দারুণভাবে অনুধাবন করেছিলেন। যে কারণে তিনি গঠন করেছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিচার্স কাউন্সিল (বিএমআরসি), বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস (বিসিপিএস), ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) কে করেছিলেন আধুনিকায়ন, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ স্থাপন এবং ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে তৎকালীন ০৮ টি মেডিকেল কলেজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভূক্ত করা, তৎকালীন আইপিজিএমআর -কে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পরিনত করা, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) প্রতিষ্ঠা করা সহ হাজারো পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন।
কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের সিংহভাগ সদস্যসহ হত্যা করার পর কুচক্রী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র বঙ্গবন্ধুর সকল ভাবনাকে পরিকল্পিতভাবে চিরতরে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরী করে। তারই অংশ হিসাবে দেশের দক্ষিণ জনপদের মানুষের জীবনে নেমে আসে অমাবশ্যার অন্ধকার। সকল মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে থাকে দক্ষিণ বঙ্গের জনগণ।
স্বাধীনতাত্তোর দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও দেশের দক্ষিণবঙ্গে একটিও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলোনা, হলোনা কোন বিশেষায়িত হাসপাতাল, হলোনা পুরানো হাসপাতাল গুলির শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি কিংবা আধুনিকায়ণ। খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের জনগন হল স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা থেকে অবহেলিত। রাষ্ট্রের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৮০-৮১ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (যার অস্থায়ী ক্যাম্পাস ছিল খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, সোনাডাঙ্গা) চালু করা হলেও এবং ছাত্র-ছাত্রীও ভর্তি করা হলেও কিছুদিন পর ঐ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শিক্ষার্থীদের তখন দেশে বিদ্যমান ৮টি মেডিকেল কলেজে ভাগ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে খুলনাঞ্চলের মানুষের দুর্বার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মাত্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালসহ খুলনা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে।
১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ই ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হওয়া আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হওয়া এবং ঐ বছর ১৭ ই মে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের মনে কালো মেঘের মধ্য দিয়ে উঁকি দেয় স্বপ্নের সোনালী কিরণ। স্বপ্নের কান্ডারীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরও দীর্ঘ ১৫ বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাবার স্বপ্নকে বুকে লালন করে তাকে লড়াই করতে হয় অপশক্তির বিরুদ্ধে।
অবশেষে ১৯৯৬ সালে সুদীর্ঘ ২১ বছরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশ বিরোধীদের কব্জা করা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা, জনগন তুলে দেয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে। শুরু হল সারাদেশের মানুষের সকল মৌলিক অধিকার বিশেষত স্বাস্থ্য অধিকারের উন্নয়ন - যা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার উত্তরাধিকারী হিসাবে শুরু করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই বৈষম্যে নিমজ্জিত রাষ্ট্রে তিনি শুরু করলেন সাম্যের ভিত্তিতে উন্নয়ন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে খুলনায় চালু করলেন বিশেষায়িত শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতাল।
সারাদেশে চালু করা হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে নার্সিং সেবার কোন বিকল্প নাই এবং বিষয়টিকে অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা নার্সদেরকে ২য় শ্রেণীতে উন্নয়ন করেন। দেশের মোট ৪৩ টি সরকারী নার্সিং ইনস্টিটিউটের মধ্যে অবহেলিত দক্ষিণবঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ১০ টি (বরিশাল, ফরিদপুর, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া এবং মাগুরা) এবং সরকারী ১১ টি বেসিক ও পোস্ট বেসিক নার্সিং কলেজ এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে ০২ টি (বরিশাল ও খুলনা) এর অধিকাংশই প্রতিষ্ঠা করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এবাদেও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেসরকারী পর্যায়েও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল অধিভ‚ক্ত অনেকগুলি নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ও কুচক্রী মহলের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে আবারো ২০০১ সালে স্বাধীনতা বিরোধীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে। ফলে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠির আশার আলো আবারো কালো মেঘে ঢেকে যায়। খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মহা অন্তরায় হয়ে দাড়ায় তৎকালীন রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত প্রতিক্রিয়াশীল চক্র।
এখান থেকে প্রকল্পের অর্থ এমনকি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও কেটে নিয়ে যাওয়া হয় বগুড়ায়। সারাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার (১৯৯৬-২০০১) কর্তৃক গৃহীত খুমেক হাসপাতালকে ২৫০ থেকে ৫০০ বেডে উন্নীত করার পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনে জনগণ।
ভিশন ২০-২১ রূপকল্প এর মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় শুরু করেন রাষ্ট্রের উন্নয়ন। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পুনরায় আশার আলো দেখে। ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০১০ সালে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়াধীন যশোর মেডিকেল কলেজ। খুলনা মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করেন। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ।
সরকারী মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারী স্বাস্থ্য খাতের উৎকর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভ‚ক্ত ২০১১ সালে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ, ২০১২ সালে যশোর আদ-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ, ২০১৩ সালে খুলনা আদ-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ এবং ২০১৮ সালে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ সমূহকে বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হিসাবে অনুমোদন প্রদান করেন। ২০১৮ সালেই মাগুরা জেলায় আরো একটি সরকারী মেডিকেল কলেজ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়।
খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল (খুলনা সদর হাসপাতাল) কে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, পর্যায়ক্রমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ শয্যায় উন্নীত ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দ্বারগোড়ায় পৌঁছে দেন। এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে দেশের সকল মেডিকেল কলেজগুলিকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনেন এবং স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের উৎকর্ষে গবেষণা কার্যক্রমকে তরান্বিত করার উদ্দেশ্যে এ সকল পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে এ বছরটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এ বছর পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী “মুজিব বর্ষ”। আর এ বর্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছ থেকে দক্ষিণবঙ্গের জনগন সবথেকে বড় যে উপহারটি পেয়েছে সেটি হল “খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়”। যার প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছিল ৮ ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে (সূত্র - প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মারক নংঃ ০৩.০০.০০০০.০৭০.৯৯.০০১.১৮) এবং যার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু কন্যার শুভ জন্মদিনের প্রাক্কালে ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মন্ত্রীসভার বৈঠকে। যে বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে আধুনিক গবেষণা নির্ভর আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কর্ম আমাদের দেশকে উন্নত বিশ্বের দিকে (এসডিজি অর্জনে) বিশেষ ভূমিকা রাখবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শী পদক্ষেপ এবং বিশ্ব করোনা মহামারীর মধ্যেও এ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই এ দেশের মানুষের প্রতি তার ভালবাসা ও দায়বদ্ধতার প্রমাণ মেলে। ভূরাজনৈতিক অবস্থানগত দিক থেকে দক্ষিণবঙ্গ তথা খুলনাঞ্চলে এ ধরনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে যে দেশীয় ও বৈশ্বিক কানেকটিভিটি এর প্রয়োজন হয় সেটি নিঃসন্দেহে বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপিত হলে এর যথার্থতা পাবে।
ভূরাজনৈতিক অবহেলায় আধাঁরে নিমজ্জ্বিত দক্ষিণবাংলার জনগনের স্বাস্থ্য অধিকার এবং সকল স্বপ্ন, স্বপ্নের কান্ডারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রর্ত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে সকল আধাঁরকে পেছনে ফেলে দক্ষিণবঙ্গে উদিত হল শীতের সকালের মিষ্টি সূর্য কিরণ। তাইতো প্রিয় নেত্রীর শুভ জন্মদিনে অনিঃশেষ ভালবাসা ও শতায়ু কামনা।
লেখকঃ অধ্যক্ষ, গাজী মেডিকেল কলেজ, খুলনা
এমবি//