নওগাঁয় তৃতীয় দফা বন্যায় নিন্মাঞ্চল প্লাবিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৪ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১১:৪৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার
নওগাঁয় তৃতীয় দফায় বন্যায় আবারও নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে আত্রাই নদী পানি এখন বিপদ সীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে গত বন্যায় মান্দায় আত্রাই নদীর বাধেঁর ভাঙ্গা অংশ মেরামত সম্পন্ন না হওযায় ওই অংশ দিয়ে হু-হু করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে করে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকেরা দ্বিতীয় দফায় রোপনকৃত আমনের ধান আবার তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
এদিকে পানি ক্রমেই বাড়তে থাকায় শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর পানি ফুলে উঠে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। শনিবার সকাল ৯টায় নওগাঁ শহরের লিটনব্রিজ পয়েন্টে ছোট যমুনা নদীর পানির বিপদসীমার মাত্র ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেলার আত্রাই ও মান্দা উপজেলার পাঁচটি স্থানে আত্রাই নদীর বেড়ীবাধঁ ভেঙে ওই দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের অর্ধ-শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। শত শত পুকরের মাছ ভেসে যায়। হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন ফসলের ক্ষতি হয়। দ্বিতীয় দফায় আগষ্টের শেসের দিকে আবারো নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দেয়। এই অবস্থায় নদীর পানি কমে গেলে এবং লোকালয় থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষকেরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে।
মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‘গত জুলাই মাসের বাঁধভাঙা পানিতে প্রায় ২০ দিন ধরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের প্রায় সব কটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়েছিল। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ফসলি মাঠগুলোতে কৃষকেরা আমনের চারা রোপন করেছিলেন। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গত বুধবার থেকে জোকাহাট, চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি এলাকায় বাঁধের ভাঙনস্থান দিয়ে আবারও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সদ্য লাগানো আমন চারা ডুবে যাওয়ায় আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হলেন কৃষকেরা।’
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান খান বলেন, নওগাঁর শিমুলতলী পয়েন্টে আত্রাই নদের পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৪৫ সেন্টিমিটার। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুই-তিন দিন পানি আরও কিছুটা বাড়বে।
কেআই//