ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

‘তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি দেশ বিশ্বকে করোনা মুক্ত করবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩৯ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার

তথ্য অধিকার আইনের আওতায় সুবিধাদি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন ও সন্তুষ্টি নিশ্চিত হবে। প্রতিটি দেশ তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ তথ্য আদান-প্রদান করে বিশ্বকে করোনা ভাইরাস মুক্ত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল সোমবার আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৪৬ হাজারের বেশি অফিসের তথ্য সম্বলিত বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন চালু করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জেলা শহরগুলোর মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগ শহর ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। এখন ভিডিও কনফারেন্সিং এবং জুম অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও কাল আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ইউনেস্কোর অনুসরণে গৃহীত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তথ্য অধিকার সংকটে হাতিয়ার ’অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের মাধ্যমে এ অজানা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য শুরু থেকেই সারা দেশের সম্মুখ যোদ্ধাদের সম্পৃক্ত করে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থেকে মতবিনিময় করেছেন। বিভিন্ন স্তরের জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতন করার, সকল কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল রাখার প্রয়াস নিয়েছেন। ব্যাপক সামাজিক বেষ্টনী রচনা করে, সর্বক্ষেত্রে প্রণোদনামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সমুন্নত রাখায় ব্রতী হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন ও সন্তুষ্টির জন্য ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ পাস এবং তথ্য কমিশন গঠন করেছি। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেই। বর্তমানে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরো বিস্তৃত করতে আমরা সরকারি টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, ২৮টি এফএম বেতার কেন্দ্র এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ভিডিও কনফারেন্সিং এবং জুম অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে। জনগণের তথ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার প্রয়াসে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৬৬৮৬টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ফলে তথ্য সেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।’ প্রধানমন্ত্রী ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২০’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।- বাসস

এসি