ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

অবশেষে সেই রাসেল বিল্লাল গ্রেফতার

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৩৩ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার

রাসেল বিল্লাল

রাসেল বিল্লাল

নড়াইল পৌর এলাকার রায়পুর-উজিরপুর এলাকায় চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি, মিথ্যাচার ও হেয়প্রতিপন্নের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ভুয়া কর্মকর্তা রাসেল বিল্লালকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে শহরের মহিষখোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বিকেলে সদর আমলী আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন রাসেল বিল্লাল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার এসআই এনামুল হক জানান, দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়ার পর রাসেল বিল্লালকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে রোববার দুপুর ১২টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু বাদী হয়ে রাসেলের বিরুদ্ধে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে।

মামলার বাদী ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, গত ৩০ আগস্ট রাতে নড়াইল পৌর এলাকার রায়পুর-উজিরপুর এলাকা থেকে চার বছরের একটি শিশুকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর হাসপাতালের নারী চিকিৎসকের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। তবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ এবং ‘টিম তারুণ্য-১০০’ নামে দু’টি সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে রাসেল বিল্লাল নামে এক যুবক ধর্ষণের ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট দিতে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এছাড়া চিকিৎসকদের নামে নানা মিথ্যাচার ও হেয়প্রতিপন্নমূলক কথাবার্তা বলে। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেও নানা ধরণের অপপ্রচার চালায় রাসেল বিল্লাল।

অন্যদিকে, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর রাসেল বিল্লাল তার ফেসবুক আইডিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অশ্লীল গালিগালাজ করেন। এ নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়।

জানা যায়, মোবাইল ফোনে গেমস ও ভিডিও দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে নড়াইল পৌরসভার রায়পুর-উজিরপুর এলাকায় চার বছরের শিশুকে প্রতিবেশি অপু বিশ্বাস (১৪) ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

এনএস/