ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

১২টি আইপিও আবেদন বাতিল (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার

পুঁজিবাজারে আইপিও আবেদনের নথিতে বানোয়াট তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনর্গঠনের পর এমন অপরাধে কমপক্ষে ১২টি আইপিও আবেদন বাতিল হয়েছে। মিথ্যা তথ্যদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ বিষয়ে তেমন তৎপর নয় এখনও। 

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনগর্ঠনের পর থেকেই পুঁজিবাজারে গতি ফিরেছে। বেড়েছে লেনদেন ও সূচক। পাশাপাশি শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতেও তৎপর নতুন কমিশন। ইতিমধ্যেই রবি, ওয়ালটন লিমিটেডসহ ১১টি নতুন আইপিও অনুমোদন পেয়েছে। 

এ সময়ে ১২টি আবেদন বাতিলও হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর্থিক প্রতিবেদন ও স্থায়ী সম্পদের তথ্যে গরমিল, কোম্পানির আবেদনে আয়ের সঙ্গে কর ও ব্যাংক হিসাবের অসঙ্গতির মতো অনিয়ম ধরা পড়ে। এছাড়া অভিযোগ উঠে, কমিশনকে বিভ্রান্ত করতে হঠাৎ আয়-বৃদ্ধিও দেখায় কিছু কোম্পানি। আইনজ্ঞরা বলছেন, আইপিও নথিতে এমন অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিএসইসি প্যানেল ল’ইয়ার ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেন, রুল ১৬তে বলা আছে যে কোন ধরনের ফলস ইনফর্মেশন, মিস রিডিং যদি আইপিও এপ্লিকেশনে দিয়ে থাকে তাহলে তার বিচার হবে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ রুল অনুযায়ী এবং সেজন্য এখানে যদি ফল্ড হয় তাহলে সেকশন ১৭ অ্যাপলাই হবে। যদি ফলস ইনফর্মেশন দিয়ে থাকে তাহলে সেকশন ১৮ অ্যাপলাই হবে।

এসব অপরাধে শাস্তির আইনী তাগিদ থাকলেও নমনীয় থাকার ইঙ্গিত বিএসইসির। 

বিএসইসি সদস্য ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যদি সেখানে গভীর কোন আইনের ব্যত্যয় দেখে থাকি তাহলে অবশ্যই সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব। কিন্তু যতোক্ষণ পর্যন্ত না সেগুলো প্রমাণিত হচ্ছে, না আমরা তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারছি ততোক্ষণ পর্যন্ত সেগুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন মন্তব্য করতে আগ্রহী নই।

বানোয়াট বা অতিরঞ্জিত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভর করে কোন কোম্পানি পুঁজিবাজারে এলে বিনিয়োগকারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই আইপিও প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকেও জবাবদিহিতায় আনার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

 
এএইচ/এমবি