ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

শেখ হাসিনা’র জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

কর্মসূচির মধ্যে আজ সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ৭৪টি বৃক্ষরোপণ, প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বাদ যোহর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, দুপুর ২ টায় পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে।

আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এ সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজকের জন্মদিনটি এমন সময়ে পালিত হচ্ছে যখন তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে টুঙ্গিপাড়ায় দাদা-দাদির কোলে-পিঠে মধুমতি নদীর তীরে। পাঁচ ভাই-বোনের অপর চারজন হলেন- শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা ও শেখ রাসেল। এর মধ্যে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বাবা-মাসহ সবাই ঘাতকের হাতে নিহত হন।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবার নিয়ে পুরান ঢাকার রজনী বোস লেনের ভাড়া বাসায় ওঠেন। বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টো রোডের বাসায় বসবাস শুরু করেন। তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৬৭ সালে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা কলেজ) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ়চেতা মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলী তাঁকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক দৈন্যে আকণ্ঠ নিমজ্জিত একটি জাতি তাঁর সফল নেতৃত্বেই উন্নয়ন-অগ্রগতি মহাসোপানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, অতীত ও বর্তমান তুলনাতেই তা শুধু দেশের মানুষই নয়, বিশ্ব নেতাদের কাছেও বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। তাই সারাদেশে এখন শুধু একটাই স্লোগান- ‘শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।’

এসি