রাজশাহীতে লাশের পেটে মিলল ৩১ প্যাকেট ইয়াবা
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৪৯ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
রাজশাহীতে এক মাদক ব্যবসায়ীর লাশ ময়নাতদন্তের সময় পেট থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে ছিল ৫০টি করে বড়ি। কক্সবাজার থেকে পেটে ইয়াবা বহন করে আনার সময় তিনি পাবনায় ধরা পড়েন।
পেট থেকে ইয়াবা বের করার জন্য রোববার রাতে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সোমবার বিকেলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের সময় তার পেট থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
এই মাদক ব্যবসায়ীর নাম আবদুস শুকুর (৩৭) তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মোক্তার আহমেদ।
রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। তার পেট থেকে বড়িগুলো উদ্ধার করার জন্য তাকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রোববার দিবাগত রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে শুকুর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মারা যাওয়ার পরে তার ময়নাতদন্ত করা হয়।
ওসি বলেন, রাজশাহীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে একজন চিকিৎসক তার ময়নাতদন্ত করেন। এ সময় তার পেট থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। বড়িগুলো এখন আলামত হিসেবে পাবনা থানায় পাঠানো হবে। আর তার লাশ পাবনা থানার উপ-পরিদর্শক সুব্রতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলী বলেন, ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোট ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। বাকি ১৫টি ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল। প্যাকেট ফেটে বড়ি বের হয়ে গলে যাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, শুকুর টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন। পাবনার স্থানীয় তিনজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে পুলিশ শুকুরকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছে ১৫০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, এদের কাছে ইয়াবা আছে আরও অনেক বেশি। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে ইয়াবা আছে শুকুরের পেটের ভেতর।
ওসি নাসিম বলেন, শুকুরকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করে নিশ্চিত করেন যে, শুকুরের পেটে ইয়াবা আছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোনো ব্যবস্থা তাদের কাছে নেই। তাই শুকুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সে অনুযায়ী তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।
এমবি//