গাইড বই নির্ভরতা আর কোচিং সেন্টার কেন্দ্রীক মানসিকতায় বিপথগামী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:১৮ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৬ মঙ্গলবার
গাইড বই, না ছাড়ছে শিক্ষার্থীকে, না শিক্ষককে। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসের পড়া বোঝাতে এবং পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিতে নিজেদের যোগ্যতা প্রমানে হরহামেশাই গাইড বইয়ের শরণাপন্ন হচ্ছেন শিক্ষকরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্লাসে ঠিকমতো পড়াশুনা না হওয়া, গাইড বই নির্ভরতা আর কোচিং সেন্টার কেন্দ্রীক মানসিকতায় বিপথগামী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাহলে সৃজনশীল শিক্ষায় কি লাভ হচ্ছে ?
সৃজনশীল পদ্ধতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যে কটি উদ্দেশ্য মোটা দাগে প্রচার করছে শিক্ষা মন্ত্রনালয় তার অন্যতম হচ্ছে শিক্ষার্থীদের গাইড বই ও কোচিং-নির্ভরতা কমানো। কিন্তু, আদৌ কি তা হয়েছে ? বাস্তব চিত্র হলো, শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকরাও এখন গাইড নির্ভর। স্কুলে রীতিমতো ক্লাস করেও ছাত্রছাত্রীদের গাইডকে ভরসা করেই যেতে হয় পরীক্ষার হলে। কোচিং না হলে পাশ করা যায় না কোন পরীক্ষায়।
সৃজনশীল পদ্ধতি না বোঝার কারনে শিক্ষকরা নতুন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্রও ঠিকমতো তৈরি করতে পারেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাডেমিক রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রায় ১ হাজার ৯৮৪টি মাধ্যমিক স্কুল প্রশ্ন সংগ্রহ করে বাইরে থেকে। কেননা, সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ শিক্ষক এ পদ্ধতি বোঝেন, বাকিরা বোঝেন না।
বইয়ের দোকানে গিয়েও দেখা গেলো, পাঠ্যবইয়ের মতই বিক্রি হচ্ছে সব বিষয়ের গাইড বই, যা ছাত্রছাত্রীদের সাথে পাল্লা দিয়ে কিনছেন শিক্ষকরা।
কিন্তু, অনেক শিক্ষকই মনে করেন, এসব গাইডে, গাইডলাইনতো দূরে থাক, উল্টো মিস গাইডেড হচ্ছে ছাত্রছাত্রী; তাই গাইড বই দেখে ক্লাসে পড়ানো মানা যায় না।
নিয়োগে যোগ্য শিক্ষকের অভাব এবং তাদের মান যাচাইয়ে সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক বলছেন, ১৭টি প্রকল্পে কাজ চলছে এ পদ্ধতির উন্নয়নে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ গাড়ার কারিগররা যেন যতœবান হন আগামী প্রজন্ম তৈরিতে।
এদিকে পরীক্ষায় সৃজনশীল পদ্ধতিতে ৬টি প্রশ্নের জায়গায় ৭টি প্রশ্ন দিয়ে যে পদ্ধতি করা হয়েছে, অবিলম্বে তা বন্ধের দাবী জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।