ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সন্তানসম্ভবা রোগীর খাদ্যনালী কেটে ফেলল নার্স!

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

চিকিৎসা নিতে আসা এক নারী রোগীর খাদ্যনালী কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক নার্সের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারীর স্বামী সোহেল হাওলাদার।

জানা গেছে, উপজেলার বটকাজল গ্রামের কৃষক সোহেল হাওলাদারের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী জাহানারা বেগম গত ২২ সেপ্টেম্বর চিকিৎসা সেবার জন্য আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ সময় শিরীন আক্তার নামে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্স তাকে ডায়লেশন অ্যান্ড কিউরাটেজ (ডিঅ্যান্ডসি)-এর পরামর্শ দেন। এরপর কোনও গাইনি বিশেষজ্ঞের উপস্থিতি ছাড়াই তার ডিএ্যান্ডসি করেন ওই নার্স শিরীন নিজেই। ডিএ্যান্ডসিকালে পেটের ভিতরের খাদ্যনালীর অংশে ছিদ্র হয়ে যায় রোগীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও মলমূত্র পেটে ছড়িয়ে পড়ায় রোগী জাহানারা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনরা তাকে বিভাগীয় শহর বরিশালের মোকলেছুর রহমান হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি গাইনী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহ আলম তালুকদারের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

অধ্যাপক ডা. শাহ আলম তালুকদার বলেন, ‘ডিএ্যান্ডসিকালীন জাহানারা বেগমের পেটের ভিতরের খাদ্যনালীর অংশে ছিদ্র হয়ে যায়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। মলমূত্র অপসারণে বিশেষ ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। তিন মাস পরে ফের অপারেশন প্রয়োজন হবে তার।’

ভুক্তভোগী সোহেল হাওলাদার বলেন, ‘জাহানারার চিকিৎসায় এ্যাহন টাহার দরকার। ঋণ কইরগ্যা ৪০ হাজার খরচ করছি। আর সামর্থ নাই।’

এ ব্যাপারে নার্স শিরীন আক্তার বলেন, ‘আমার ভুল হতেই পারে। জাহানারা বেগমের স্বজনদের সঙ্গে কথা হইছে। এরপরও কেন অভিযোগ দিলো বুঝতে পারছি না।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এনএস/