এমসি কলেজে শ্লীলতাহানির ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের কমিটি গঠন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির ঘটনা তদন্তে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদন্তে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সাধারণ) সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এ কমিটিকে আগামী ১৫দিনের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্টারের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেয়।
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার শিকার গৃহবধূ, মামলার বাদী, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপার, ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী (যদি খুঁজে পাওয়া যায়) এবং কমিটি যাদের প্রয়োজন মনে করবে, তাদের জবানবন্দি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। কোনোরূপ ব্যর্থতা ছাড়া আদালতের আজকের আদেশের অনুলিপি বুধবারের মধ্যে তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে পৌঁছাতে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সিলেটের পুলিশ কমিশনরকে এই অনুসন্ধান কমিটির যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। তদন্তকাজে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সিলেটের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমসি কলেজে শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মাদ মেসবাহ উদ্দিন এ বিষয়ে আদেশের প্রার্থনা জানান।
হাইকোর্ট আজ রুলও জারি করেছেন। রুলে ঘটনার শিকার গৃহবধূকে রক্ষায় অবহেলা ও অছাত্রদের কলেজে অবস্থান বিষয়ে নীরবতার জন্য অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট আগামী ১৮ অক্টোবর এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ভার্চুয়াল শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মাদ মেসবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
গত শুক্রবার এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন গৃহবধূ। পরে পুলিশ ঘটনার শিকারদের উদ্ধার করে। ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে।
ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে গত শনিবার নগরীর শাহপরান থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকেও আসামি করা হয়েছে।
গণধর্ষণের ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের ৬ জন আদালতের আদেশে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ রিমান্ডে। এ ঘটনায় সরকার জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসি