ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৮ ১৪৩১

৬ বছর পর আদালতে অপহৃত যুবক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫২ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৫৪ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

অপহরণের ছয় বছর পর নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির হয়েছেন মামুন নামের এক যুবক। তবে তাকে অপহরণ ও হত্যা করার অভিযোগে দেড় বছর কারাভোগ করতে হয়েছে গার্মেন্টসকর্মী তাসলিমাকে। ওই মামলায় তাসলিমার বাবা ও ভাইসহ আরও ৩ জনও ছিলেন জেলহাজতে। পুলিশ ও সিআইডির চার্জশিটে এ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার সেই যুবক আদালতে হাজির হলে উভয়পক্ষের মধ্যে হট্টোগোলের ঘটনা ঘটে। 

২০১৪ সালে নিখোঁজ হলেও ২০১৬ সালের ৯ মে ছেলেকে অপহরণ করে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করা হয়েছে অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন মামুনের বাবা আবুল কালাম। সেই মামলায় আসামী করা হয় গার্মেন্টসকর্মী তাসলিমা, তার বাবা রহমত উল্লাহ, ভাই রফিক, খালাতো ভাই সাগর, সোহেল ও ছাত্তার মোল্লাকে। পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে আদালতে এক আসামীকে প্রেরণ করার সময়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে এসআই মিজানুর রহমান। তিনি উল্লেখ করেন, তদন্তকালে জানা গেছে আসামীরা মামুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ফেলে দেয়া হয়।

৩০ সেপেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার পর মামুন জানায়, বাবা-মা কাজের কথা বলায় তাদের সাথে অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। কেউ তাকে অপহরণ করেনি, তার দাবি মামলা করেছে তার বাবা।

অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে দেড় বছর কারাভোগ করে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তাসলিমা। তিনি জানান, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মামুনকে অপহরণ ও খুন করার অপবাদ দেয়া হয়েছে তাকে। তিনি এ ঘটনার বিচার চাই দাবি করেন।

একই মামলায় তাসলিমা বাবা ভাইসহ আরও ৩ জন। তারা জানান,  বিভিন্ন মেয়াদে জেল হাজতে ছিলেন।

এদিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী। মামলার বিষয়ে সঠিত তদন্ত না করেই ৬ জনকে আসামী করে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে দাখিল করা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে আসামীদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পরে মামলা দায়িত্ব নেয়া সিআইডি তাদের তদন্ত রিপোর্টে অপহরণ করা হয়েছে বলে আদালতকে জানান। 

অপহরণ না হয়েও অপহরণের মামলায় কারা ভোগ করায় মামলার বাদিসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ সিআইডির এসপি নাসির উদ্দীন জানান, সিআইডির তদন্তে যদি কোনো গাফিলতি থাকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরকে//