ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২০ রবিবার

উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী দেশের ৭টি নদীর পানি ১১টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সাথে কোথাও কোথাও তীব্র হয়েছে নদীভাঙন। 

টাঙ্গাইলে যমুনা ও ধলেশ্বরীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভুঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। ক্ষতি হচ্ছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের।

বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ষষ্ঠ দফা বন্যার কবলে সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চল। যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, সদর ও কাজীপুরের নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কাজ ও খাদ্য সংকট চরমে। তীব্র হয়েছে নদী-ভাঙনও।

জামালপুরে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে সামান্য কমলেও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে এখনও পানি। তলিয়ে গেছে রোপা আমনের ক্ষেত।

নওগাঁর সবকটি নদ-নদীর পানি কমলেও আত্রাইয়ের রেলস্টেশন পয়েন্ট এবং ছোট যমুনার পানি শহরের লিটন ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘর ছেড়ে বাঁধ, সড়ক ও উঁচুস্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।

রাজবাড়ীতে পদ্মায় পানির সাথে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা। পাঁচ দিনের ব্যবধানে সদর উপজেলার গোদার বাজার এলাকায় দেড়শ’ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বেড়ি বাঁধের নিচে তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩/৪ হাজার সিসি ঢালাই ব্লক নদী গ্রাস করেছে। ভাঙনঝুঁকিতে আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের।

ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এএইচ/