ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কারাবাখের কয়েকটি গ্রাম নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি আজারবাইজানের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২০ রবিবার

বিতর্কিত নাগর্নো-করাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ান মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ জোরদার হয়েছে। বড় রকমের সংঘর্ষের পর কারাবাখ এলাকায় বেশ কয়েকটি গ্রাম দখল করেছে আজারবাইজান বলে দাবি করেছে বাকু। খবর ফাস্টপোস্ট ও পার্স টুডে’র। 

আজ রোববার দক্ষিণ ককেশাসে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ৮ম দিনের মতো সামরিক সংঘাত চলছে। কারাবাখ অঞ্চলের প্রধান শহর খানকেন্ডিতে বেশ কয়েকটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা যায়।

আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ বলেছে, আর্মেনিয়া সমর্থিত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রকেট হামলার পর তারা খানকেন্ডি শহরে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এই শহরটিকে আর্মেনীয়রা স্টেপানাকার্ত বলে থাকে। তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজাতে আর্মেনীয় বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ শহরটি কারাবাখ অঞ্চল থেকে অনেক দূরে এবং আর্মেনিয়া সীমান্তে অবস্থিত।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ৩ লাখ ৩০ হাজার অধিবাসী অধ্যুষিত পশ্চিম আজারবাইজানের গানজা শহরে আর্মেনীয় বাহিনী রকেট হামলা চালিয়েছে এবং গোলাবর্ষণ করেছে। শহরের বেশ কয়েকটি বেসামরিক এলাকায়ও হামলা হয়।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলীয়েভ এর একদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন, তার দেশের সামরিক বাহিনী কারাবাখ অঞ্চলের সাতটি গ্রাম দখলে নিয়েছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বক্তব্য সমর্থন করে বলেছে, তাদের সামরিক বাহিনী আরো বেশ কিছু নতুন এলাকা দখল করেছে।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েরেভান সমর্থিত সেনারা কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের একটি বড় ধরনের হামলা প্রতিহত করেছে। ঐ হামলা প্রতিহত করার সময় দুই পক্ষে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয় এবং বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের হামলা প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে তারা। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, তারা বিজয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের বিরোধপূর্ণ নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে কয়েক দশক ধরে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অঞ্চলটি আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত হলেও আর্মেনিয়া সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রেখেছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে নতুন করে বড় রকমের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে এবং এ পর্যন্ত সেখানে ২০০’র বেশি মানুষ মারা গেছে যার মধ্যে ৩০ জনের বেশি বেসামরিক ব্যক্তি।

এমএস/