ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

অভিন্ন ১৫ শতাংশ ভ্যাটের হার নিয়ে মতবিরোধ

প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ৯ মে ২০১৭ মঙ্গলবার

অভিন্ন ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট আরোপ করে নতুন আইন কার্যকর করতে যাচ্ছে সরকার। তবে ভ্যাটের এই হার নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে ব্যবসায়ী অর্থনীিিতবিদদের। এমনকি সরকারই দুই প্রতিষ্ঠান এনবিআর ও বিআইডিএসের মধ্যেও আছে মত পার্থক্য। এনবিআরের ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায়ের প্রস্তুতির মধ্যে এফবিসিসিআই ৭ শতাংশ এবং বিআইডিএস ১২ শতাংশ রাখার পক্ষে।

মূল্য সংযোজন কর, বা ভ্যাট আইন ১৯৯১-এ চালু হওয়ার পর থেকে এ খাতে সরকারের সবচেয়ে বেশী আয় আসে। ক্রেতাকে পণ্যক্রয়ের সময়ই ভ্যাট পরিশোধ করতে হয়। সবক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ নতুন আইন পাস হয় ২০১২ সালে। তবে ব্যবসায়ীদের বিরোধীতায় তা কার্যকর হয়নি। এবার আগামী ১ জুলাই থেকে চালুর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর শক্ত ঘোষণায় ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া বোঝা যায় সাম্প্রতিক এনবিআর ও এফবিসিসিআইয়ের যৌথসভায়।

ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ে সভাপতি মাতলুব আহমেদ অনলাইন রেজিস্ট্রেশনসহ নতুন আইনকে স্বাগত জানালেও দাবি জানান, হার ৭ শতাংশ রাখার।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিআইডিএস দেশের উন্নয়নে জন্য ভ্যাটের হার বাড়ানোর পক্ষে। তবে দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখতে সেই হার ১২ শতাংশ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিআইডিএস সংস্থার মহাপরিচালক ড. খান আহমেদ সাঈদ মুর্শিদ।

অন্যদিকে নতুন ভ্যাট আইন চালুর প্রস্তুতির পাশাপাশি আইনটি বিভ্রান্তি কাটিয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টায় আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান জানান, চলমান বিরোধের মিমাংসা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।

তবে ভ্যাটের হার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থাকলেও প্রত্যন্ত এলাকার সক্ষম ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের আওতায় এনে সরকারের আয় বাড়ানোর প্রশ্নে সবাই একমত।

ফ্লোটিং গ্রাফিক্স সরকারের সবচেয়ে বেশী আয় ভ্যাট বা মূসক থেকে
সবশেষ চুড়ান্ত হিসেবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ভ্যাট আসে ৪৫ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা
২০১৫-১৬ বাজেট ৬৪ হাজার ২৬২ কোটি, সংশোধিত বাজেটে ৫৩ হাজার ৯১৩ কোটি
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটে লক্ষ্য ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা

https://youtu.be/tKW3sYv72FQ