ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শিক্ষার্থী পায়েল হত্যা মামলার রায় ১ নভেম্বর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৩ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৭:৫৬ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২০ রবিবার

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলার রায়ের জন্য ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। রোববার (৪ অক্টোবর) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার সামছুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জামিনে থাকা মামলার ৩ আসামি আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধুর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর ঢাকার কাছে নিখোঁজ হন পায়েল। ২৩ জুলাই মুন্সীগঞ্জের ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ। 

এঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে জামাল হোসেন ও ফয়সাল হোসেন দুই ভাই। 

এঘটনায় ২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এঘটনায় ২৫ জুলাই আটক করা বাসের সুপারভাইজার জনি (৩৮) ও চালক জামাল হোসেন (৩৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

গজারিয়া থানা পুলিশ ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এ মামলায় ২৪ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৪ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। অপরদিকে আসামি পক্ষে চারজন সাফাই সাক্ষী দেন।

এরপর মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার কাজ শুরু হলেও পরিবারের আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। এরপর থেকে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই বিচারাধীন ছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচার কাজ শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নিহত শিক্ষার্থী পায়েলের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে তিনি সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন। সেই থেকে পায়েলের পরিবার-পরিজন দোষীদের শাস্তির অপেক্ষায় দিন গুনছেন। বাবা মা'র আদরের সন্তানকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন তারা। প্রিয় সন্তানের হত্যাকারীদের সঠিক বিচারের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছেন পায়েলের ঘনিষ্ঠজনরা। 
কেআই//