ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

এমসি কলেজের ঘটনায় আদালতে দুই আসামির স্বীকারোক্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ১০:০২ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২০ রবিবার

সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের মামলার সর্বশেষ দুই আসামিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাঁচ দিনে রিমান্ড শেষে আজ বেলা ৩টায় এ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে এসএমপি’র শাহপরান থানা পুলিশ।

পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক সিএমএম-১ এর বিচারক জিয়াদুর রহমানের আদালতে ও মাহফুজুর রহমান মাসুম সিএমএম-২ এর বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেয়। পরে দুই আসামীকে আদালতের নির্দেশে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার ( প্রসিকিউসন) অমূল্য কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এমসি কলেজের হোস্টেলে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৮ আসামীর সবাই ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধু। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে এসএমপি’র শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন এমসি কলেজের ছাত্র সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত রবিউল এবং তারেক আহমদ। মামলার অপর তিন আসামি অজ্ঞাত। পরে অজ্ঞাতদের মধ্য থেকে আরো দুইজনকে র‌্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করে । এ মামলার মোট আটজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত ৮ আসামির বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে টানা তিন দিনে অর্থাৎ গত শুক্র, শনি ও আজ রোববার পৃথকভাবে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে ৮ জনই দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তি দেয়া আসামিদের ১৬৪ রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ওই ৮ আসামিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ।

অপরদিকে এ ঘটনার তদন্তের জন্য পৃথক পৃথক তিনটি কমিটি কাজ করছে। এর মধ্যে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি, অন্যটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি ও সিলেট এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি। এ তিন কমিটি পৃথকভাবে তাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।- বাসস

এসি